ঢাকাকে হেসেখেলে হারাল রংপুর রাইডার্স

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বনাম রংপুরের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

লক্ষ্যটা বড় নয়। জিততে হলে রংপুর রাইডার্সকে করতে হতো মাত্র ১৪৫ রান। এই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা হতাশায় হলেও খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি রাইডার্সদের। হেসেখেলেই ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।

আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিপিএলে সিলেট পর্বে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে রংপুর। এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করল রাইডার্সরা।

এবারের বিপিএলে নড়বড়ে অবস্থায় ঢাকা ডমিনের্টস। একের পর এক হেরেই চলছে দলটি। অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। শেষ ম্যাচে জিতেও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়নি দলটি। যার ছাপ দেখা গেল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও। রংপুরের বিপক্ষেও হতাশ করেছেন ঢাকার ব্যাটাররা। একমাত্র রান পেয়েছেন উসমান ঘানি। তাঁর ব্যাটে চড়েই রংপুরকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিতে পারে নাসির হোসেনের দল। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

মাঝারি লক্ষ্য ৬ বল হাতে রেখেই টপকে যায় রংপুর। দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে মাহেদি হাসান। ব্যাট হাতে তিনি ৭২ রানের ইনিংস উপহার দেন। ৪৩ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায়। এ ছাড়াও ২৯ রান করেন রনি তালুকদার।  

এর আগে রংপুরের বিপক্ষে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ৭৩ রানের ইনিংস এসেছে উসমান ঘানির ব্যাট থেকে। 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেই বিপাকে পড়ে ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হারায় উইকেট। টানা ব্যর্থতায় আটকে থাকা ওপেনার মিজানুর রহমান আজও ব্যর্থ হন। আজমতউল্লাহর বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ৫ রানে ফেরেন সাজঘরে।

ফর্মে ফেরার আভাস দিয়ে সৌম্যও নিভে গেলেন। ১১ রান করে বিদায় নেন আজমতউল্লাহর বলেই। তিনে নেবে জোড়া ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন উসমান। তবে এর মধ্যেই চার নম্বরে নামা অ্যালেক্সও হতাশ করেন। মাহেদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর পুরো দলকে একাই টানেন উসমান। মাঝে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেন। তবে দুজনের একজনও থিতু হতে পারেননি। ১৪ রান করে বিদায় নেন মিঠুন। নাসির কাটা পড়েন রান আউটে। ২২ বলে ২৯ করে বিদায় নেন তিনি।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন উসমান ঘানি। তাঁর ব্যাটে চড়েই মূলত একশ ছাড়ানো পুঁজি পায় ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন উসমান। ৫৫ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল সাত বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায়।