তাসকিন-এবাদতের জোড়া আঘাতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে আয়ারল্যান্ড

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাসগড়া সিরিজের পর নতুন মিশনে নেমেছে বাংলাদেশ। এবার তামিম-সাকিবদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে রেকর্ড ৩৩৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করলেও তাসকিন-এবাদতদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে আইরিশরা।

আজ শনিবার (১৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৩৩৯ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকে দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও স্টিফেন ডোহেনি। এই দুজন মিলে প্রথম ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫১ রান তুলে ফেলে।

এরপর দলীয় ৬০ রানের মাথায় আইরিশদের প্রতিরোধ ভাঙে সাকিব। ১২তম ওভারে ৩৮ বলে ৩৪ রান করে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দেন ডোহেনি। এরপর ২ রানের মাথায় সাফল্য এনে দেন পেসার এবাদত। দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্টার্লিংকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত। ৩১ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্টার্লিং।

প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিতেও খুব বেশি সময় নেননি এবাদত। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় হ্যারি ট্র্যাক্টরকেও মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত। ৮ বলে ৩ রানে করে ফেরেন হ্যারি। এরপর সাকিব-এবাদতের সঙ্গে যোগ দেন পেসার তাসকিন। তুলে নেন আইরিশ অধিনায়ক বালবার্নির উইকেট। দলীয় ৭৩ রানে বালবার্নিকে বোল্ড করে আইরিশদের পাহাড়সম চাপে ফেলেন তাসকিন। চতুর্থ উইকেটের পর পঞ্চম উইকেট হারাতেও খুব বেশি সময় লাগেনি সফরকারীদের। তাসকিনের বলে দলীয় ৭৬ রানের মাথায় সামনে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্লিপে রাব্বির হাতে ধরা পড়েন ট্র্যাক্টর। সবমিলিয়ে তাসকিন-এবাদতের জোড়া আঘাতে চাপে সফরকারীরা।

এর আগে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম-লিটন। যদিও দলীয় ১৫ রানের মাথায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফেরেন অধিনায়ক তামিম। ৯ বলে ৩ রান  করে মার্ক অ্যাডাইর এর শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়েন আরেক টপঅর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার লিটন। ক্যাম্পারের ব্যাক অফ লেন্থের বলে শর্ট কাভারে স্টার্লিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার।

এরপর সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়েন শান্ত। তবে লিটনের বিদায়ের পর শান্তও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ৮১ রানে ম্যাকব্রাইনের বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৪ বলে ২৫ রান করেন শান্ত।

শান্তর বিদায়ের পর নবাগত তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ১৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই মূলত বড় স্কোরের ভিত পায় স্বাগতিকরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ফিফটি তুলে দলীয় ২১৬ রানে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে আউট হন সাকিব। ৭ রানের জন্য ওয়ানডেতে নিজের দশম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না সাকিব।

সাকিবের বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়েন হৃদয়। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। দলীয় ২৯৬ রানে ৪৪ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। তার বিদায়ের পর টিকতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়ও। ব্যক্তিগত ৯২ রানে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়। শেষপর্যন্ত লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন গ্রাহাম হিউম।