দুইটা সেঞ্চুরি দেখতে আসলাম, একটা ফসকে গেল : পাপন

Looks like you've blocked notifications!
সাকিবের সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন। ছবি : বিসিবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অভিভাবক হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। ক্রিকেটাররা ভালো খেললে প্রশংসা করেন, খুনসুটিও করেন। শেরেবাংলায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বিসিবি সভাপতির আক্ষেপ, দুটি সেঞ্চুরি দেখতে পারলেন না তিনি।

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম শতরান করেছেন। কাছাকাছি গিয়েও ৮৭ রানে থামেন সাকিব আল হাসান। ৫৫ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভালো শুরু করেও ৪৩ রানে আউট হয়েছেন লিটন দাস। সবার ইনিংসই বড় হতে পারতো। মুশফিক ছাড়া সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে পারেননি কেউই। ভক্তদের মতো আফসোস বোর্ড সভাপতিরও।

দিন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন হয়ে বলেন, 'সকালে তাড়াহুড়া করে দুটি সেঞ্চুরি দেখতে এসেছিলাম। একটা ফসকে গেল। খেলা শুরুর আগেই সাকিব বলছিল সে দ্রুততম শতক হাঁকাবে। আমি বলেছিলাম এসব চলবে না আগে ফিফটি করো, তারপর। যাতে ও তাড়াহুড়া না করে। ও ভালো খেলেছে। ১৩ রানের মতো বাকি ছিল সেঞ্চুরির, এটা মিস করলাম। তবে মুশফিকের সেঞ্চুরি দেখে খুবই ভালো লেগেছে।'

বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুশফিক অনন্য এক নাম। ভরসার অন্যতম প্রতীক মুশফিক মাঝে কিছুদিন খেই হারালেও নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন । সে প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলে এসেছি, আমাদের সেরা ব্যাটার মুশফিক। মাঝখানে রান পাচ্ছিল না, তবে বিশ্বাস করতাম রানে ফিরে আসবে। ওয়ানডের পর আজকে টেস্টেও সেঞ্চুরি করল। ওর ওপর এই আস্থাটা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’

সব কথার ভীড়ে স্বভাবতই আলোচনায় এসেছে সাকিব ও আইপিএল। দ্বিতীয় দিন মাঠের খেলায় সাকিবকে দেখে মনে হয়েছে ইতিবাচক তিনি। বোর্ড সভাপতির কথাতেও একই সুর, ‘সব খেলোয়াড়েরই ইতিবাচক মানসিকতা এখন। এটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। তবে টেস্টে আমরা এখনও আহামরি কোনো দল না। আজ দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো। গতকাল মেজাজটাই খারাপ ছিল। এটাই বাস্তবতা। আরও অনেক দূর যেতে হবে। এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ টেস্টেও ভালো দল হয়ে যাবে। সমস্যা হচ্ছে আমরা ভালো দলের সাথে টেস্ট খেলার তেমন সুযোগ পাই না। এই এক বছরে ১৪টি টেস্ট আছে। এটা কিন্তু সহজ কথা না। এই সময়ে আমাদের একটা দল তৈরি হয়ে যাবে।’

দল তৈরি করার প্রক্রিয়াটা হয়তো শুরু হয়ে গিয়েছে। সিনিয়ররা দায়িত্ব নিয়ে খেললে এবং জুনিয়ররা তাদের দেখে সহজাত খেলাটা রপ্ত করতে পারলে সাদা পোশাকেও বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সমীহ জাগানিয়া দল।