প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষে এগিয়ে যারা

Looks like you've blocked notifications!
ব্যাট হাতে শীর্ষে আছেন আবাহনীর নাঈম শেখ। ছবি : বিসিবি

মাশরাফীর বুড়ো হাড়ের ভেল্কি, সাকিব-ইমরুলদের মোহামেডানের প্রত্যাবর্তন, ব্যাট হাতে দুই বাংলাদেশি নাঈম শেখ ও এনামুল হকের নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই; সব মিলিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম পর্বের খেলা। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ১২ দলের প্রত্যেকে ম্যাচ খেলেছে একে অপরের বিপক্ষে। ৬ দল উঠেছে সুপার লিগে। যেখানে হবে শিরোপার আসল লড়াই। দুই সপ্তাহের বিরতি দিয়ে খেলা আবার মাঠে গড়াবে আগামী ১ মে।

প্রথম পর্ব শেষে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আবাহনী লিমিটেড। দুইয়ে আছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। ১১ ম্যাচে সমান ১০টি করে জয় হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে আবাহনীর কাছে হার মানে শেখ জামাল। ফলে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হয় তাদের। 

সুপার লিগের টিকিট পাওয়া বাকি চার দল হলো—লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, মোহামেডান, প্রাউম ব্যাংক ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

প্রথম পর্ব শেষে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন আবাহনীর দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চালিয়েছেন দু'জন। ১১ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফসেঞ্চুরিতে ৭১৯ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন নাঈম। গড় (৮৯.৮৭) ও স্ট্রাইক রেট (৯৫.২৩) দুটোই চমৎকার। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বিজয়। তিনটি শতক ও দু'টি অর্ধশতকে ১১ ম্যাচে বিজয়ের সংগ্রহ ৬৪৪ রান। তৃতীয় স্থানে আছে গাজী গ্রুপের ভারতীয় ব্যাটার রবি তেজা। সমান দুইটি সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে ১১ ম্যাচে তার রান ৫০৮।

বল হাতে সবার শীর্ষে আছেন শেখ জামালের পারভেজ রসুল ও সিটি ক্লাবের রবিউল হক। ১১ ম্যাচে দুজনেই ঝুলিতে নিয়েছেন ২৩টি করে উইকেট। সিটি ক্লাবের আসর শেষ হয়ে গেলেও রসুলের সামনে সুযোগ নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ২০ উইকেট নিয়েছেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হাসান মুরাদ।

চলতি আসরে প্রত্যাবর্তনের চমক দেখিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান। প্রথম পাঁচ ম্যাচে হারলেও পরের ছয় ম্যাচে টানা জয় তাদের নিয়ে গেছে সুপার লিগে। ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা বেঁচে গেছেন গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার লজ্জা থেকে। রেকর্ড গড়েছেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মোহামেডানের বিপক্ষে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বুঝিয়েছেন, বয়স বাড়লেও ফুরিয়ে যাননি তিনি। 

একইসঙ্গে পূর্ণ করেছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪৫০ উইকেট। সঙ্গে করেছেন আরেকটি রেকর্ড। লিস্ট এ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে (৩৯ বছর ১৭৩ দিন) উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব এখন তাঁর।