ফাইনালে যেতে কুমিল্লার সামনে সহজ লক্ষ্য

Looks like you've blocked notifications!
সিলেট বনাম কুমিল্লার ম্যাচ। ছবি : সিলেট স্ট্রাইকার্স

জিতলেই বিপিএলের ফাইনাল। হারলে বাড়বে অপেক্ষা। এমন সমীকরণের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। মুস্তাফিজ-রাসেলদের বোলিং দাপটে ২০ ওভারও টিকে থাকতে পারল না মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে যেতে হলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার  চাই মাত্র ১২৬ রান। 

আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৭.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১২৫ রান তুলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। দলীয় ৬ রানে হারায় ওপেনার শরিফুল্লাহ গাফারিকে। ৫ রানে গাফারিকে নিজের শিকার বানান আন্দ্রে রাসেল। একই ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন ছন্দে থাকা তৌহিদ।

জোড়া ধাক্কার মাঝেই মঈন আলি বিদায় করেন চারে নামা জাকির হাসানকে। দলীয় ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় সিলেট। সেই চাপ কাটাতে আগেই ব্যাটিংয়ে নেমে যান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক। দুজন মিলে তোলেন ৫৭ রান। দশম ওভারে এই জুটি ভাঙেন রাসেল। ফেরান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফীকে। দুটি করে ছক্কা-চারে ১৭ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন সিলেট অধিনায়ক।

মাশরাফীর বিদায়ের পর টিকতে পারেননি শান্তও। পরের ওভারেই উইকেট হারান তিনি। তানভির ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি ওপেনার। ফেরার আগে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৯ বলে করেন ৩৮ রান। এরপর মুশফিকুর রহিম কিছুটা লড়াই করলেও থিতু হতে পারেননি। কুমিল্লার বোলারদের দাপটের সামনে বড় জুটি গড়তে পারেনি সিলেট। মুশফিক ২৯ রানে সাজঘরে ফিরলে শেষ পর্যন্ত সিলেট থামে ১২৫ রানে।

বল হাতে কুমিল্লার হয়ে ৩০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তানভির। ২২ রান দিয়ে আন্দ্রে রাসেলের সংগ্রহ দুই উইকেট। সমান দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজও। মঈন আলি নেন এক উইকেট।