বলবয় থেকে বিশ্বসেরা, বাবরের সাফল্যের রহস্য

Looks like you've blocked notifications!
বাবার আজম। ছবি : বাবর আজমের ফেসবুক পেজ।

ক্রিকেটে সময়টা দারুণ কাটছে পাকিস্তানি তারকা বাবর আজমের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতি ম্যাচেই হাসছে তাঁর ব্যাট। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৪৯, ৬৫ ও ৫৮ রান করা বাবর চতুর্থ ম্যাচে হাঁকান সেঞ্চুরি। ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে জেতানোর পাশাপাশি নিজেকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়।

নিউজিল্যান্ডকে চতুর্থ ওয়ানডেতে হারানোর ম্যাচে দুটি সাফল্য আসে পাকিস্তানে। একটি দলীয় আরেকটি অধিনায়ক বাবরের। ওই ম্যাচটিতে জিতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ১৯ রান তুলেই  ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৫ হাজার রান ছোঁয়া ক্রিকেটার হন বাবর। এখন এই ফরম্যাটে পাকিস্তান সেরা দল, একই সঙ্গে সেরা ব্যাটারের তালিকায় এক নম্বর নামটিও পাকিস্তানের অধিনয়াক বাবর আজমের।

এমন সাফল্যের পর বাবর ফিরে গেলেন অতীতে। জানালেন, কীভাবে পেয়েছেন এই সাফল্যের দেখা। কীভাবে বলবয় থেকে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান।

পিসিবির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার স্মৃতি শেয়ার করে বাবর বলেছেন, ‘এটি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা একটি অনুভূতি। তখন আমাকে দলে নেওয়া নিয়ে অনেক কথা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন সত্যিই ডাক আসে তখন উত্তেজনা কাজ করে। তখন আমি আমার পরিবারের সাথে বসেছিলাম, এটা তাদের অনেক আনন্দ দেয়।’

‘এরপর যখন গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে প্রথশ পা রাখি তখন আমার পুরো যাত্রার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যে, কীভাবে আমি বলবয় থেকে এখানে এলাম। আমি ওই মাঠে যাই ইনজামাম-উল হকের ভাইয়ের শেষ টেস্টে। যেটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তখন আমি ছিলাম একজন নেট বোলার।’

নিজের পরিশ্রমের দিনগুলো তুলে ধরে বাবর জানান নিজের জার্নির কথা। পাকিস্তানি তারকা বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৫ আঞ্চলিক ক্রিকেটার হিসেবে যখন প্রথম মৌসুমে ক্রিকেটারদের জাতীয় একাডেমিতে ডাকা হয় আমি তখন নির্বাচিত হয়নি। কারণ, আমার পারফরম্যান্স তখন ‘আপ টু দ্য মার্ক’ ছিল না। তখনই আমি আমার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলি। আমি দিন-রাত পরিশ্রম করতে থাকি। আমি পরিশ্রমের মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে যাই। আমি প্রতিদিন ট্রেনিংয়ের জন্য সকাল ১১টায় বাসা থেকে বের হতাম আর বাসায় ফিরতাম সন্ধ্যার পর। এভাবেই নিজের লড়াই চালিয়ে যাই।’