ব্রাজিলের হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাজিলের কান্না আর ক্রোয়েশিয়ার উচ্ছ্বাস। ছবি : সংগৃহীত

শক্তি-সামর্থ্য কিংবা পরিসংখ্যান সব দিকেই পরিস্কারভাবে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তবুও নির্ধারিত সময়ে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। ক্রোয়াটদের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে চোখ ধাঁধানো গোলে আশা দেখান নেইমার। কিন্তু না, হয়েও শেষ হলো না। ব্রুনো পেটকোভিকের গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচের ভাগ্য টাইব্রেকারে নিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারের উত্তেজনায় শেষ হাসি হাসে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া।

আজ শুক্রবার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয় পায় ক্রোয়েশিয়া। এর আগে ম্যাচের নির্ধারিত সময় দু',দল ১-১ গোলের সমতায় ছিল। এই জয়ে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে গেলবারের রানার্সআপরা। অন্যদিকে ফেভারিটের তকমা পাওয়া ব্রাজিল বিদায় নেয় শেষ আট থেকে। ২০০২ বিশ্বকাপ জেতার পর এই নিয়ে টানা চার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে ইউরোপের চার দলের বিপক্ষে হেরে বাদ পড়েছে ব্রাজিল। 

প্রথমার্ধে নেইমার ভিনিসিউসরা একবারের জন্যেও কাঁপন ধরাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে। পায়ে দখল বেশি ছিল ঠিকই, নিয়ন্ত্রণ ছিল না। মাঝমাঠ দাঁপিয়ে বেড়ান লুকা মদ্রিচ, কোভাচিচরা। প্রথমার্ধে ব্রাজিলের পায়ে বল ছিল ৫৪ শতাংশ, ক্রোয়াটদের ৪৬। ক্রোয়েশিয়ার গোলমুখে ৫টি শট মারে ব্রাজিল, ৩টি অন টার্গেট। যদিও একটাতেও বিচলিত হয় ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়া তাদের তিনটি শটের একটিতেও অ্যালিসনকে ফাঁকি দিতে পারেনি।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে চেপে ধরা ক্রোয়েশিয়া দ্বিতীয়ার্ধেও অব্যাহত রাখে গতিশীলতা। তবে এই সময়ে আক্রমণের পাল্লা ব্রাজিলের দিকে ভারী থাকে। ৭৫ মিনিটে নেইমারকে আবারও গোল বঞ্চিত করেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক। কিন্তু ১০৫তম মিনিটে নেইমারকে আর আটকাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। নেইমারের গোলটি ছিল বিশ্বকাপে তার অষ্টম গোল। এই গোলে তিনি ছুঁয়েছেন ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলের রেকর্ড। পেলে ও নেইমার দুইজনেরই জাতীয় দলের জার্সিতে গোলসংখ্যা ৭৭।

রেকর্ডের রাতে হাসি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি নেইমার। ১১৭ মিনিটে ব্রুনো পেটকোভিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। পরের সময়টুকু আক্রমণ করেও ফল পায়নি ব্রাজিল। খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। প্রথম চার শটের সবগুলোতে গোল পায় ক্রোয়েশিয়া। যেখানে রদ্রিগোর প্রথম শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। আর মার্কুইনহোসের শেষ শট বারে লাগলে শেষ হয় সেলেসাওদের হেক্সা স্বপ্ন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ট্রাইবেকারে শেষ হাসি হাসে ক্রোয়েশিয়া।