ব্রুককে বিদায় করে ম্যাচে ফিরল পাকিস্তান

Looks like you've blocked notifications!
ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই মাত্র ১৩৮ রান। এই রান তাড়ায় জোড়া ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড। হারিয়েছে অ্যালেক্স হেলস, জস বাটলার ও ফিল সল্টের উইকেট। তবে পরপর ধাক্কা খেয়েও রানের চাকা সচল রেখেছে ইংলিশরা। ছুটে চলা ইংল্যান্ডের জয়ের রথে বাধা দিলেন শাদাব খান। ফিরিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। তার বিদায়ে কিছুটা লড়াইয়ে ফিরেছে পাকিস্তান। 

আজ রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৭ রান তুলেছে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন শান মাসুদ। ২৮ বলে দুই বাউন্ডারি আর এক ছক্কার মার ছিল তাঁর ইনিংসে।

এদিন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে বোলিং করার সুবিধা ভালোভাবেই কাজে লাগায় ইংলিশরা। ইনিংসের শুরুটা হয় বেন স্টোকসকে দিয়ে। প্রথম ডেলিভারি তিনি দেন ‘নো বল’। সেই মোমেন্টাম অবশ্য ধরতে পারেনি পাকিস্তান।

এরপর পাওয়ার প্লেতে পুরো সময়ই দাপট দেখায় ইংল্যান্ড। এর মধ্যে পঞ্চম ওভারে রিজওয়ানকে হারায় পাকিস্তান। স্যাম কারানের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বলে ব্যাট চালিয়ে দেন রিজওয়ান। কিন্তু টাইমিং ঠিক ছিল না তাঁর। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। এক ছক্কায় ১৪ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন পাকিস্তান ওপেনার। ১ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৯ রান তোলে পাকিস্তান।

পাওয়ার প্লের পর আরেকটি ধাক্কা খায় পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই মোহাম্মদ হারিসকে নিজের শিকার বানান আদিল রশিদ। ইংলিশ তারকার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন হারিস। কিন্তু ঠিকঠাক মারতে পারেননি। বল চলে যায় লং অনে। সেখানে থাকা বেন স্টোকস সেটা লুফে নেন। ১২ বলে ৮ করে ফেরেন হারিস।

মাঝে বাবর আজমের সঙ্গে আশা জাগান শান মাসুদ। কিন্তু এই জুটিও ভেঙে দিলেন রশিদ। ১২তম ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ককে ফাঁদে ফেলেন তিনি। উইকেটে রান নিতে ভুগতে থাকা বাবর চেষ্টা করছিলেন ইনিংস মেরামতের। উইকেটে থিতুও হয়ে গিয়েছিলেন। আদিল রশিদ তাঁকে ইনিংস বড় করতে দিলেন না। ১২তম ওভারে মেডেন উইকেট নিয়ে পাকিস্তান তারকাকে বিদায় করেন তিনি। ২৮ বলে ৩২ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটেন বাবর।

উইকেটে আসা ইফতেখার প্রথম ৫ বলেই রান নিতে ব্যর্থ হন। ষষ্ঠ বলে তিনিও উইকেট উপহার দেন। শূন্যতে তাকে বিদায় করে উৎসবে মাতেন স্টোকস।

একের পর এক উইকেট হারিয়ে মেলবোর্নে শুধু হতাশাই দেখছিল পাকিস্তান। এই হতাশার মাঝে আশার আলো হয়ে লড়াই করেন শান মাসুদ। জুটি গড়ার চেষ্টা করে দলকে পথ দেখান তিনি। কিন্তু আশাও মিলিয়ে দেন কারান। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে এসেই থামান শানকে। তরুণ পেসারের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন শান। সেখান থেকা লিয়াম ভুল করেননি ক্যাচ ধরতে। এরপর বাকি সময় আর রানে ফেরার পথ পায় পাকিস্তান। ফরে শেষ পর্যন্ত অল্প পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাবরকে।

বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে মাত্র ১২ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন স্যাম কারান। ২২ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন আদিল রশিদ। সমান দুটি নেন ক্রিস জর্ডান। একটি নেন বেন স্টোকস।