যে আনন্দ জয়ের চেয়েও বেশি তামিমের কাছে

Looks like you've blocked notifications!
মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনের ব্যাটিং দেখে বেশি আনন্দিত হন তামিম ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত

অবিশ্বাস্য, অসাধারণ—বাংলাদেশের এই জয় নিয়ে প্রশংসা করতে গেলে তা কমই বলা হবে। একেবারেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল। এমন জয় পেয়ে বিশ্বাসই হচ্ছে না বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের।

মাত্র ৪৫ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। অবিশ্বাস্য এই জয় সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি চিন্তাও করতে পারিনি। আমি যদি বলি আমাদের জয়ের আশা ছিল, তা মিথ্যা বলা হবে। এটা খুব কঠিন ছিল, খুব। তাছাড়া ওদের বোলিং অ্যাটাক যে শক্তিশালী, তাতে জয় খুবই কঠিন ছিল। ওরা (মিরাজ-আফিফ) যা খেলেছে, অসাধারণ। ওদের ব্যাটিং কোনো ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারব না। ওদের জন্য আমার গর্ব হচ্ছে। আমার জয়ের চেয়ে বেশি আনন্দ লাগছে ওদের ব্যাটিং দেখে।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমি দোয়া করি,  আশাকরি এটাই শেষ নয়। এটা জাস্ট শুরু ওদের জন্য। ওরা আরো জেতাবে। আমি খুব খুশি।’

ম্যাচে ১৭৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে এই দরুণ জয় এনে দেন আফিফ ও মিরাজ। এর আগে ২০১৮ সালে মিরপুরে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ১২৭ ছিল সপ্তম উইকেটে আগের রেকর্ড জুটি। এবার তা ছাড়িয়ে গেছেন আফিফ ও মিরাজ।

শুধু তাই নয়, ক‍্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলেন দুই ব‍্যাটসম‍্যান। চার মেরে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যাওয়া আফিফ অপরাজিত থাকেন ৯৩ রানে। ১১৫ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় এই ইনিংসটি সাজান তিনি। মিরাজ ৮১ রান করেন ১২০ বলে, নয়টি চারের মার ছিল তাঁর ইনিংসে।

বাংলাদেশও দারুণ জয় পেয়েছে চার উইকেটে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে ৭ বল বাকি থাকতে।