যে কারণে এই বিশ্বকাপ ভুলে যেতে চাইবেন সাকিব!

Looks like you've blocked notifications!
সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

একটা দলের বড় শক্তি কী? দলীয় পারফরম্যান্সের বাইরে একজন ‘শো স্টপার’ থাকা, একজন বন্ধুসুলভ অধিনায়ক থাকা। যদি দু'জন একই ব্যক্তি হন তাহলে পোয়াবারো! বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পারফর্মার, অলিখিত ‘শো স্টপার’ তো সাকিই! সাকিব আল হাসান, বাংলার ক্রিকেটকে যিনি দু'হাত ভরে দিয়েছেন। কিন্তু সাকিব এবার ছিলেন বড্ড অচেনা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারের যাত্রা থামলো বাংলাদেশের। অষ্টম আসরে এসে প্রথমবার একাধিক জয়ের দেখা পাওয়া বাংলাদেশ স্মরণে রাখবে তাসমান সাগরের দেশ অস্ট্রেলিয়ার আসরটিকে। তবে, সাকিব নিঃসন্দেহে ভুলে যেতে চাইবেন! বিশ্বকাপের আট আসরের সবকটিতে খেলা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এটিই সবচেয়ে বাজে টুর্নামেন্ট।

যতবার সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন, ততবার মোমেন্টাম ধরার কথা বলেছেন সাকিব। তিনি নিজে পেরেছেন ধরতে? পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত আউট এক পাশে সরিয়ে রাখলে বাকি চার ম্যাচেও পারেননি দলের জন্য ঢাল হতে। ভারত ম্যাচে চাইলেই আরেকটু দায়িত্ব নিতে পারতেন ব্যাট হাতে। ৫ ম্যাচে রান করেছেন ৪৪, গড় ৮.৮০, স্ট্রাইক রেট ৯৫.৬৫! যা কি-না ২০০৯ এর পর সর্বনিম্ন!

সাকিবের মূল জায়গা বোলিং। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব এবার কব্জির মোচড়েও ভেলকি দেখাতে ব্যর্থ। ৫ ম্যাচে উইকেট তুলেছেন ৬টি, ইকোনমি ৮.৭৮, গড় ২৭.৮৩! বলা বাহুল্য, ওভারপ্রতি প্রায় ৯ করে দেওয়া সাকিবের এটিই বল হাতে সবচেয়ে বাজে আসর।

দলের অভিজ্ঞতম তারকার বিবর্ণ পারফরম্যান্সের ছাপ দলজুড়ে। গোটা বিশ্বকাপে সাকিবীয় মূহুর্ত বোধহয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই রান আউট। না হলে আগে-পরে পুরোটা সাকিব নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন। অবশ্য, বিশ্বকাপ শুরুর আগ থেকে সাকিব অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন দলকে। জয় পরাজয় যা-ই হোক, অধিনায়কের প্রেষণা কাজে দেয়। দলটি বাংলাদেশ বলেই হত ব্যর্থ, তবু সাকিব এখানে সফল!