যে কারণে সৈকতকে আর বোলিংয়ে আনেননি মাহমুদউল্লাহ

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত

২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৯৩। আসলে ১৯ ওভারে বললেও মন্দ হয় না। ১৩তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বোলিংয়ে এসে কোনো রান তো দেনই নি। উল্টো ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের উইকেট নিয়েছিলেন।

সৈকতের মেডেন ওভারের পরও বাংলাদেশ ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। ক্রিজে এসে মাত্র ২০ বলে ফিফটি তুলে নেন রভম্যান পাওয়েল। ইনিংস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৬১ রান নিয়ে। ৬ ছক্কা ও ২ চারে বাংলাদেশের বোলিং এলোমেলো করে দেন এই হার্ডহিটার।

সাকিবের এক ওভারে তিন ছক্কা ও এক চার উড়ান। তাসকিনকে চোখের পলকে দৃষ্টিসীমার বাইরে পাঠান। ইনিংসের শেষ বলে শরিফুল হজম করে বিশাল ছক্কা। এমন মারমুখী ব্যাটসম্যানের সামনে অফস্পিনার সৈকতকে পাঠিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

মূলত ম্যাচআপ (ডানহাতি বোলার টু ডানহাতি ব্যাটসম্যান বা বাঁহাতি বোলার টু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান) করাতে চাননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। এজন্য একপাশে তাসকিন, অারেক পাশে সাকিবকে বোলিংয়ে এসেছিলেন।

শুধু রভম্যান পাওয়েলের ক্ষেত্রেই নয়, নিকোলাস পুরান ক্রিজে থাকার সময় সাকিবকেও বোলিংয়ে আনেননি তিনি। মাহমুদউল্লাহর এমন মুখস্থ অধিনায়কত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়ে যায় বাড়তি সুবিধা। তাতে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে তাদের রান চলে যায় চূড়ায়।

ম্যাচ শেষে সৈকতকে বোলিংয়ে না আনার কারণ জানাতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘ওকে অবশ্যই বোলিং করাতাম। কিন্তু রভম্যান পাওয়েল যখন ব্যাটিংয়ে ছিল, যেহেতু দুজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান…আবার ওই পাশটা একটু ছোটও ছিল। এ জন্য ঝুঁকি নেইনি। আমি তাসকিনকে ওই সময়ে বোলিংয়ে আনি। ওই পাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল। দেখবেন সাকিবকে কিছুটা পরে বোলিংয়ে আনি যেহেতু পুরান ব্যাটিং করছিল। আমার মনে হয় রভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ম্যাচআপ অনেক সময় সুফল দেয়, অনেক সময় ডুবিয়ে দেয়। তবে আধুনিক ক্রিকেট অনেক পরিবর্তনময়। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করে ডানহাতি বোলাররা সফল হচ্ছেন। সেটা স্পিনাররাও। আবার বাঁহাতি স্পিনার বা পেসারও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ভোগাচ্ছেন। মুখস্থ এমন অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের ভরাডুবির কারণ নাকি সেটা ভেবে দেখার সময় এসে গেছে নিশ্চয়ই।