লখনৌর কাছে হেরে আইপিএল শুরু দিল্লির

Looks like you've blocked notifications!
লখনৌ বনাম দিল্লি ম্যাচ। আইপিএলের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

আইপিএলের চলতি আসরের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। এখন পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে তিন ম্যাচ। যার সবকটিই ছিল হাই-স্কোরিং। দ্বিতীয় দিনেই মুখোমুখি হয় লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। ঘরের মাঠে দিল্লিকে হারিয়ে জয় দিয়ে আইপিএলের ১৬তম আসরের শুরুটা রাঙাল লখনৌ।

গতকাল শনিবার (১ এপ্রিল) লখনৌ এর ঘরের মাঠ ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯৩ রান তোলে লখনৌ। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি।

এই ম্যাচের দিল্লি একাদশে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের নাম না দেখে কিছুটা হতাশ হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেননা মুস্তাফিজকে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই চাটার্ড বিমানে করে উড়িয়ে নেয় দিল্লি। তাই স্বভাবতই ভক্তদের আশা ছিল হয়তো প্রথম ম্যাচে খেলবে দেখেই এমন তাড়াহুড়ো। যদিও তা হয়নি। শুধু একাদশ নয় ১৬ সদস্যের দলেও ছিল না মুস্তাফিজের নাম।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি লখনৌ। দলীয় ১৯ রানে তারা হারিয়ে বসে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে। চেতন সাকারিয়ার বলে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। তার বিদায়ের পর দুর্দান্ত জুটি গড়েন কাইল মায়ার্স ও দিপক হুডা। এই দুই ব্যাটার মিলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। দলীয় ৯৮ রানে হুডার বিদায়ের পর মাত্র দুই রানের ব্যবধানে উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া মায়ার্সকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় লখনৌ। সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ক্রুনাল পান্ডিয়া ও মার্কাস স্টয়নিসরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় মাঝে কিছুটা চাপে পড়লেও শেষদিকে নিকোলাস পুরান ও আয়ুশ বাদুনির ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৯৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লখনৌ। দিল্লির হয়ে খলিল, সাকারিয়া ২টি করে ও অক্ষর-কুলদিপ ১টি করে উইকেট নেন।

১৯৪ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুই ব্যাটার মিলে প্রথম চার ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলে লখনৌ বোলারদের চাপে ফেলেন। তবে এরপরই ছন্দপতন। দলীয় ৪১ রানে পৃথ্বী শ-মিচেল মার্শের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে জোড়া ধাক্কা খায় দিল্লি। মার্শ ০ ও পৃথ্বি ১২ রান করে ফিরে যান।

এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর দলীয় ৪৮ রানের মাথায় সরফরাজ খানের উইকেটও হারায় দিল্লি। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিল্লিকে চাপে ফেলে লখনৌ। এরপর সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ওয়ার্নার ও রাইলি রুশো। যদিও তারা খুব একটা সফল হননি। দলীয় ৮৬ রানে রুশোর বিদায়ে দিল্লির জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। এরপর লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যান ওয়ার্নার। তুলে নেন ফিফটি। যদিও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। শেষশেষ লখনৌ বোলারদের দাপটে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। যার ফলে ৫০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাহুলের দল।