শিরোপা জিততে মাশরাফীদের শক্ত পুঁজি

Looks like you've blocked notifications!
সিলেট বনাম কুমিল্লার ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

আগের কোনো আসরে ফাইনালে ওঠা হয়নি। এবার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। সেই সঙ্গে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সামনে আজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। নিজেদের প্রথম ফাইনালে আগে ব্যাট করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ জানাল মাশরাফীর দল। 

দেখতে দেখতে শেষ পর্যায়ে চলে এলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।

মিরপুর শেরেবাংলায় ফাইনালকে ঘিরে নানা আয়োজন রাখে ক্রিকেট বোর্ড। শিরোপা নির্ধারিত ম্যাচের আগে গানে গানে মঞ্চ মাতান শিল্পীরা। এরপর টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

আগে ফিল্ডিংয়ে নামা কুমিল্লার প্রথম ওভারে কাটে এলোমেলো। বোলিং ইনিংস শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল। যার প্রথম বলে মিডঅন থেকে ওভারথ্রো-তে চার পেয়ে যান শান্ত। শেষ বলে ফাইন লেগ থেকে তানভীর ইসলামের ওভারথ্রো থেকে আসে আরেকটি চার। এ ছাড়া শান্ত মারেন আরও দুটি বাউন্ডারি। একটি আসে মিড অফের ওপর দিয়ে, আরেকটি মারেন আউটসাইড-এজে থার্ডম্যান দিয়ে। সবমিলিয়ে প্রথম ওভারে সিলেটের স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।

এমন দুর্দান্ত শুরুটা অবশ্য ধরে রাখতে পারেনি সিলেট। ঠিক পরের ওভারের প্রথম বলেই তানভীরকে জায়গা বানিয়ে কাট করতে গিয়ে আউট হন তৌহিদ। ছন্দে থাকা তৌহিদ আজ রানের খাতাও খুলতে পারেননি। 

আগের ম্যাচের মতো আজও ওয়ানডাউনে মাঠে নামেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। কিন্তু টিকতে পারেননি। রাসেলের প্রথম স্পেলের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন মাশরাফী। দলীয় ২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতে ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট।

সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। এর মধ্যে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪২ রান। আর ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর শান্ত যখন আরও আগ্রাসী হচ্ছিলেন তখন তাঁর ঝড় থামালেন মঈন আলি। ইংলিশ তারকার বল উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে আউট হন শান্ত। ৯ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৫ বলে ৬৪ রানে শেষ হয় তাঁর প্রতিরোধ।

শান্তর পর থিতু হওয়ার চেষ্টায় ফেরেন রায়ার্ন বার্ল। মুস্তাফিজের কাটারে পড়ে ১৩ রানে বিদায় নেন তিনি। বার্লের পর একে একে ফেরেন থিসারা পেরেরা-জর্জ লিন্ডে। কিন্তু উইকেটে ততক্ষণে থিতু হয়ে যান মুশফিক। ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করা মুশফিক শেষ পর্যন্ত উপহার দেন ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪৮ বলে যা সাজানো ছিল ৫ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায়। মুশফিকের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার পুঁজি পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

যদিও মাঝে কুমিল্লার ক্যাচ মিস সুযোগ করে দিয়েছে সিলেটকে। এক ইনিংসে কুমিল্লা মিস করে পাঁচটি ক্যাচ। লিটন দাস ও মঈন আলিদের ক্যাচ মিসের কারণে সিলেট পায় বড় সংগ্রহ।

বল হাতে কুমিল্লার হয়ে ৩১ রানে দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজ। একটি করে নেন রাসেল, মঈন আলি, তানভির ও নারিন। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

সিলেট স্ট্রাইকার্স : ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (শান্ত ৬৪, তৌহিদ হৃদয় ০, মাশরাফী ১, মুশফিক ৭৪, পেরেরা ০, বার্ল ১৩, জর্জ ৯, জাকির ১, সাকিব ০; মঈন ৪-০-৩১-১, রাসেল ৩-০-৩১-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, তানভির ৩-০-২১-১,  নারিন ৪-০-৩৩-১)।