শেন ওয়ার্নকে নিয়ে স্মৃতিকাতর রশিদ খান

Looks like you've blocked notifications!
রশিদ খান ও শেন ওয়ার্ন। ছবি-সংগৃহীত

কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট। ব্যতিক্রম হয়নি এই সময়ের অন্যতম লেগ স্পিনার রশিদ খানের ক্ষেত্রেও। অসি কিংবদন্তিকে হারানোর বেদনায় কাল সারারাত ঘুমাতে পারেননি তিনি। আজ শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন আফগান তারকা। তাঁর মতে, ওয়ার্নকে হারানোর দিনটি বিশ্ব ক্রিকেটে সবার জন্যই বড় দুঃখের।

গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাতে আচমকাই খবরটি আসে। থাইল্যান্ডের কোহ সামুইতে নিজের ভিলায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ওয়ার্ন। অসি কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ ক্রীড়াবিদরা। আজ বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচের আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করে স্মরণ করা হয় ওয়ার্নকে।

এরপর ওয়ার্নকে নিয়ে নানা স্মৃতির কথা জানালেন রশিদ খান। আফগান তারকা বলেন, ‘এই খবরটি মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। আমি ঠিক বুঝতেছিলাম না কীভাবে আজ নিজের খেলাটা খেলব। সারারাত জুড়ে সে আমার মাথায় ছিল। এখনো আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠলাম এবং কয়েকবার আমার ফোন চেক করলাম, আসলে গতরাতে কি ঘটেছিল! বিশ্বাস করার মতো নয় এমন কিছু। মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন। তবে এটাই জীবন। আপনি জানবেন না কখন আপনার পালা আসবে, এটাকে মেনে নিতে হবে। কোচ হিসেবে তার অনেক কিছু দেওয়ার বাকি ছিল, তার মতো ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে তরুণ প্রজন্মের অনেক কিছু পাওয়ার ছিল, বিশেষ করে আমার জন্য।’

এমসিজিতে ওয়ার্নের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল রশিদের। সেই স্মৃতিও শেয়ার করলেন তিনি, ‘অবশ্যই এটা আমার জন্য অন্যরকম সম্মানের ব্যাপার যে এমসিজিতে আমরা একসাথে বল করেছি। আমরা কথা বলেছি লেগ স্পিন নিয়ে। আমি খুব বেশি আগ্রহী ছিলাম টেস্ট ক্রিকেটে বল করা নিয়ে। তার সাথে কাজ করতে আগ্রহী ছিলাম। সে নিজেও আমার সঙ্গে একমত ছিল, পছন্দ করতো।’

“উনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি (ওয়ার্ন) টেস্ট ফরম্যাটে ভালো করতে তোমাকে সাহয্য করতে পারলে নিজেই খুশি হব।‘ আর সেই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলাম। এবারের বিগ ব্যাশে সে সুযোগটা এলো। সে আমাকে ডেকে নেয় এবং আমাদের মাঝে আলোচনা হয়। আমি বলব, এসব অবিশ্বাস্য। যেসব স্মৃতি, তার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, যেসব কথা উনি আমাকে বলেছে, আমি এসব অনেক মিস করব। যখনই তার মৃত্যুর খবর শুনেছি এসব স্মৃতি আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, কি দুর্দান্ত ছিল এমসিজির সেসব মুহূর্ত। সে এমন একজন ছিল যে পুরোপুরি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চাইতো। এটা অবিশ্বাস্য, এমন দিন নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব ক্রিকেটে সবার জন্যই দুঃখের দিন।’’