সুইজারল্যান্ডকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল

Looks like you've blocked notifications!
গনসালো রামোসের হ্যাটট্রিকের দিনে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে পর্তুগালের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে তার আগেই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কাজের কাজ করে দিয়েছিলেন সতীর্থরা। ম্যাচটিতে হ্যাটট্রিক গোল করেছেন গনসালো রামোস। তাতে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। আর শেষ মুহূর্তে রোনালদোকে মাঠে নামিয়ে ভক্তদের মনকে শান্ত করেছিলেন সান্তোস।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল-সুইজারল্যান্ড। প্রথমার্ধে রোনালদোর বদলে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার পেপে। বিরতির আগে পর্তুগাল পেয়েছিল ২-০ গোলের ব্যবধান। আর শেষ পর্যন্ত স্ট্রাইকার গনসালো রামোসের হ্যাটট্রিকে ৬-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোনালদো শিবির।

প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা পর্তুগাল দ্বিতীয়ার্ধেও আগ্রাসী আক্রমণে নেমেছিল। ৫০ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেছিলেন গনসালো রামোস। সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার বলটি ঠেকানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গতির কাছে পরাস্ত হয়ে গোল হজম করতে হয়েছিল। এটি ছিল রামোসের দ্বিতীয় গোল। 

৫৪ মিনিটে গোলের ব্যবধান ৪-০ করেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার রাফায়েল গুয়েরেইরো। এবার গোল না করলেও গোল করতে সহায়তা করেছিলেন গনসালো রামোস। ৫৭ মিনিটে কর্নার থেকে একমাত্র সান্ত্বনার গোল পেয়েছিল সুইজার‌ল্যান্ড। গোল করে তাই উদযাপনে সময় ব্যয় করেননি সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজি। তখন গোলের ব্যবধান দাঁড়িয়েছিল ৪-১।

৬৬ মিনিটে পঞ্চম গোল পায় পর্তুগাল। আর তাতে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়ে যান গনসালো রামোস। জোয়াও ফেলিক্সের পাসে দুর্দান্ত গোলটি ছিল দেখার মতো। ৭২ মিনিটে পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস দলের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়েই মাঠে নামিয়েছিলেন তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠে নামার আগেই লুসাইলে রোনালদো, রোনালদো স্লোগানে কম্পিত হতে থাকে স্টেডিয়াম। যদিও এ দিন গোল বঞ্চিত হয়েছেন রোনালদো, তবুও ভক্তদের হৃদয় হয়েছিল শান্ত।

৮৩ মিনিটে অবশ্য গোল পেয়েছিলেন রোনালদো। তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়েছিল। ম্যাচের শেষের দিকে দলের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেছিলেন বদলি স্ট্রাইকার রাফায়েল লিও। তাতে ৬-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।

এ দিন প্রথমার্ধের ১৬ মিনিটে প্রথম গোল করেছিলেন গনসালো রামোস। পর্তুগিজ স্ট্রাইকার জোয়াও ফেলিক্সের সহায়তায় গোলটি করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন রোনালদোর বদলে দলের দায়িত্ব পাওয়া ডিফেন্ডার পেপে। ৩২ মিনিটে কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি আদায় করেছিলেন পেপে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধ মিলিয়ে পর্তুগাল যে ফুটবল খেলেছে তাতে ম্যাচে ফেরার সুযোগই পায়নি সুইসরা।

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাত ৯টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল।