সোহাগ ইস্যুতে দায় এড়িয়ে গেল বাফুফে
ফিফার দেওয়া অনুদানের অর্থে কেনাকাটায় অনিয়ম ও গরমিলের অভিযোগে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বাফুফের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন—এসব বিষয়ে আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা। সভায় বাফুফে সাফ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সাধারণ সম্পাদক সোহাগের জালিয়াতির দায় নেবে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
অর্থনৈতিক অনিয়ম ও জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে গত ১৪ এপ্রিল তাকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। এই ব্যাপারে বাফুফে কী পদক্ষেপ নেন, নিজেদের উপর দায় নেন কি না, তা নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহল কাজ করছিল। আজ কাজী সালাউদ্দিন এলেন, সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন এবং তার বক্তব্যে দায় এড়িয়ে গেলেন।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘সাত জনের একটা বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ইন্টারনাল একটা অডিট কমিটি আছে। দুটো মিলে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তারা তদন্তের বিস্তারিত জমা দেবেন। কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে আপনাদের জানিয়ে দেব।’
বাফুফেতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন সোহাগ। এত বড় অনিয়ম ও দুর্নীতি তিনি করেছেন সালাউদ্দিনের আড়ালে, তা মানতে সবার কষ্ট হলেও দায় নিতে নারাজ বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী। সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা কোনো দায় নেব না। সে সঠিক প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করেনি, তাই সে বহিষ্কৃত হয়েছে। আমরা যদি দেখি, অন্য কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করব না।’
কয়েকদিন আগেও যিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক, এখন তিনি কেউ নন। আবু নাঈম সোহাগকে এমনকি, বাফুফেতে ঢোকার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কার্যনির্বাহী কমিটি।