হঠাৎ ‘জ্বরে’ আলোচনায় মুশফিক 

Looks like you've blocked notifications!
মাশরাফীর সঙ্গে মুশফিক । ছবি : সিলেট স্ট্রাইকার্সের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সিলেটের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় রংপুর রাইডার্সের। দুদার্ন্ত জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে হারের কারণ হিসেবে এবার সিলেটের তারকা ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রংপুর রাইডার্স। 

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলে রংপুর-সিলেট ম্যাচে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের এক পর্যায়ে শক্ত অবস্থানে ছিল রংপুর। সিলেটের ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভার রংপুরের স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫০। সে সময় ৮২ রানের জুটি গড়ে রনি তালুকদার ও নুরুল হাসান সোহান রংপুকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকে।

তবে হঠাৎ ছন্দপতন। আউট হয়ে যান থিতু হয়ে যাওয়া দুই সোহান-রনি। বাকিরাও পারেননি শেষের চাপ সামাল দিতে। আর এতেই ১৯ রানের জয় তুলে ফাইনাল নিশ্চিত করে মাশরাফীর সিলেট। হারের পর সংবাদ সম্মেলনে রংপুরের প্রধান কোচ সোহেল ইসলাম অবশ্য এমন হারের পেছনে সিলেট খেলোয়াড় মুশফিকের ‘রহস্যময় জ্বরকে’ দায়ী করছেন।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তখন খেলার মেমেন্টাম আমাদের দিকে ছিল, খেলার একটা ফ্লো ছিল। ওই সময় জাকির বের হলো। উইকেটকিপার বদল হলো। একটা মেমেন্টাম শিফট হলো। এটা টি-টোয়েন্টিতে একটা দলের জন্য, একটা ফ্লো থাকে তখন সেটা বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক ।’

সিলেটের ফিল্ডিংয়ে মুশফিককে না দেখে কারণ জানতে চাইলে রংপুরকে জানানো হয় জ্বরে আক্রান্ত মুশফিক। এই ইস্যুতে রংপুর কোচ বলেন, ‘জানি না তাদের কৌশল ছিল কিনা। যেটা হয়েছে মুশফিক খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাট করেছে। আমি জিজ্ঞেস করেছি চতুর্থ আম্পায়ারকে সে কেন বাহিরে গেল। তারা আমাকে জানায় তার জ্বর এসেছে, সেজন্য বাইরে। আমার কথা হলো জ্বর যখন আসবে এর দায়িত্ব কি অন্য দল নিবে? নিশ্চয়ই না। মাঠের মধ্য থেকে যদি কেউ চোট হয় তখন যেটা নিয়ম আছে সেটা হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, 'জ্বর যদি আসে তাহলে সেই ব্যাপারটা নিয়ে কথা হচ্ছিল। পরবর্তীতে মুশফিক যখন নামে তখন অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে। ওটা এক-দুই মিনিটের ব্যাপার না। চার-পাঁচ মিনিটের ব্যাপার। ওই সময় আমরা বেশ ভালো অবস্থানে ছিলাম। একটা ফ্লো ছিল। আমার কাছে মনে হয় এই জায়গায় ফ্লো নষ্ট হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতির একটি কারণ।'

জ্বরে থাকা মুশফিক আর মাঠে নামবেন না ধরে নিয়েছিল রংপুর। তার বদলে কিপিং শুরু করেন আকবর আলি। ১৭তম ওভারের পর সাধারন ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন মুশফিক। আকবরকে এর খানিকটা পর বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তারও মিনিট খানেক পর জাকির হাসান মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে গিয়ে প্যাড ও গ্লাভস পরে কিপিং করতে আসেন।

জ্বরের কথা বলে একজন খেলোয়াড়কে বাইরে রাখার পর তাকে আবার ম্যাচের গুরুত্বর্ণ সময়ে ফেরানো, কিপার বদলাতে সময় ক্ষেপণ ইত্যাদি কারণে সিলেটের দিকে ছন্দ নষ্টের ইঙ্গিত রংপুরের প্রধান কোচের। যদিও এই বিষয় নিয়ে সিলেটের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানা যায়নি।