হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের পুঁজি ২৫৬

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি-সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর কঠিন পরীক্ষায় নেমে ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারল না বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের ডট বলের মহড়ায় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে কোনো মতে জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান তুলেছে তামিম ইকবালের দল। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮১ বলে ৮৫রান করেন আফিফ হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন এনামুল হক বিজয়। ৭১ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা।

হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এই ম্যাচেও টসে হারে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সতর্কই করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।

কিন্তু দুজন মিলে পারলেন না জুটি বড় করতে। রান আউট হয়ে তামিম ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩০ বলে ৩ চারে ১৯ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিম ফেরার পরপর আরো দুটি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এক ওভারেই হারায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট। দশম ওভারে পেসার ব্র্যাড ইভান্সের শর্ট বল লাফিয়ে উঠে কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন শান্ত। গোল্ডেন ডাকেই সাজঘরের পথে হাঁটেন তিনি।

একই ওভারে মুশফিকও শর্ট বল আপার কাট করেন। বল হাওয়ায় ভেসে যেতে থাকে বাউন্ডারির দিকে। কিন্তু থার্ডম্যান থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নিয়ে মুশফিককে থামিয়ে দেন এনগারাভা। মুশফিকও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

দ্রুত তিন টপ অর্ডারের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে উদ্ধার করতে কিছুটা লড়াই করেন এনামুল হক বিজয়। তাঁকে সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে বাংলাদেশ পায় ৯০ বলে ৭৭ রান।

২৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙে জিম্বাবুয়ে। ডানহাতি পেসার লুক জঙ্গুয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি এনামুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে চলে যায়। ৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৬ রানে শেষ হয় তাঁর ইনিংস।

এনামুল ফেরার পর শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। উইকেটে টিকে থেকে ডট বলের মহড়ায় চাপ বাড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ৩৯ রান করতে তিনি খেলেছেন ৬৯টি ডট বল।

মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর শেষ দিকে বাকিদের নিয়ে কোনো মতে বাংলাদেশকে ২৫৬ রানের পুঁজি এনে দেন আফিফ হোসেন। ৮১ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাঝে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। এই অফ স্পিনারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ১৪ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৬/৯ (তামিম ১৯, এনামুল ৭৬, শান্ত ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৩৯, আফিফ ৮৫*, মিরাজ ১৪, তাইজুল ৫, হাসান ০, মুস্তাফিজ ০, ইবাদত ০*, এনগারাভা ১০-১-৫১-১, নিয়াউচি ৬-০-২৪-০, ইভান্স ৮-১-৫৩-২, রাজা ১০-০-৪২-১, কাইয়া ৪-০-১৬-০, মাধেভেরে ৬-০-২৭-০)।