২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের শিক্ষা কাজে দেবে ইংল্যান্ডের

Looks like you've blocked notifications!
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। সেই সঙ্গে নাটকীয়তারও বটে। অনিশ্চয়তা আর নাটকীয়তার মিশেলে জন্ম নেয় রোমাঞ্চ। ২০১৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছিল এমনই একটি ম্যাচ। ইংলিশ ও নিউজিল্যান্ড মিলে সেদিন যা দেখালো, ক্রিকেট দুনিয়া কখনও ভুলবে না তা। এভাবেও লড়াই করা যায়, হারতে নেই হারার আগে, সেদিন যেন সবই জপে ছিল দল দুটি।

প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। অল্প লক্ষ্য, হেসেখেলে টপকে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপরা সেটি হতে দেয়নি। শেষ ওভারে ইংলিশদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান, শেষ ২ বলে ৩। ১৪ তে থামে ওভার। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও টাই! পরে বাউন্ডারির হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডকে। ঘরের মাঠে জয়জয়কার হয় তাদের।

এর আগে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ইংল্যান্ড। প্রথম ও একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। এরপর ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠলেও হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।

তবে, সব ছাপিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ প্রেরণা দিচ্ছে ইংল্যান্ডকে। সেই ফাইনালের অন্যতম সদস্য জস বাটলার এবার ইংলিশ দলপতি। ম্যাচের আগের দিন স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বললেন, ‘লর্ডসের সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। পরিস্থিতি, পরিবেশ, চাপ সামাল দেওয়ার সম্মুখীন হওয়া মানে নতুন কিছু শেখা। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সেই অনুযায়ী খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

লর্ডসের সেই ফাইনাল ইতিহাসে অমরত্ব পেয়েছে। আরও একটি ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক ম্যাচ ও আগামীকালের ফাইনাল নিয়ে বাটলার বলেন, ‘ফাইনাল এমন একটি মঞ্চ, সেখানে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। লর্ডসের অভিজ্ঞতা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই আমি মনে করি। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত।’

আগেরবার নিজে দেশের ফাইনাল শেষে লর্ডসের ব্যালকনিতে শিরোপা তুলে ধরেছিল ইংল্যান্ড। স্নায়ুর চাপ সামলাবার শিক্ষা পেয়েছেন বৃষ্টিস্নাত দিনে। মেলবোর্নের আবহাওয়া এবারও পূর্বাভাস দিচ্ছে বৃষ্টির। আরেকটি শিরোপা কি তবে ডাকছে ইংলিশদের!