ব্ল্যাটার-যুগের অবসানের প্রত্যয় প্রিন্স আলীর
শুধু জর্ডানের প্রিন্স নন, আলী বিন আল হুসেইন সাবেক সেনাসদস্য ও কুস্তিগীরও বটে। লড়াকু মানসিকতা তাই তাঁর রক্তের মধ্যেই। সেই মানসিকতা নিয়ে ফুটবল-দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর পদে বসার জন্য ফিফার সভাপতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ৩৯ বছর বয়সী প্রিন্স আলী।
শুক্রবার ফিফার সভাপতি নির্বাচনের দুদিন আগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন উচ্চ পর্যায়ের সাত কর্মকর্তা। পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে ফিফার সদর দপ্তরে। ১৯৯৮ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা সেপ ব্ল্যাটার সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তবু নির্বাচন থেকে সরে আসেননি ৭৯ বছর বয়সী এই সুইস।
প্রিন্স আলী ব্ল্যাটারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী। সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির পর ফিফার ২০৯ সদস্যের অনেকেই এখন তাঁর পক্ষে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো থেকে তিনি সমর্থন পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ব্ল্যাটারকে হারানো সহজ নয়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর সমর্থন ব্ল্যাটারের পক্ষেই যাওয়ার কথা।
২০১১ সাল থেকে ফিফার এশিয়া অঞ্চলের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন প্রিন্স আলী। এবার তাঁর লক্ষ্য ব্ল্যাটারকে টানা পঞ্চম দফা ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখা। লক্ষ্যপূরণে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ‘ফিফায় বিরাজমান সংকট আমরা চলতে দিতে পারি না। ফিফার এমন নেতৃত্ব দরকার, যা আমাদের জাতীয় অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সুশাসন, দিকনির্দেশনা ও সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। এই নেতৃত্বের যেন নিজেদের সব কাজের দায়িত্ব স্বীকার করার মানসিকতা থাকে। আর অন্য কারোকে দোষী সাব্যস্ত না করে। দুনিয়ার কোটি কোটি ফুটবল-ভক্তের ফিফার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে এমন নেতৃত্বও আমাদের প্রয়োজন।’
১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া প্রিন্স আলী পড়াশোনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৩ সালে কানেক্টিকাট থেকে স্নাতক করে তিনি যোগ দেন ব্রিটেনের রয়্যাল মিলিটারি একাডেমিতে। পেয়েছেন ব্রিটিশ নাইটহুড, ফ্রান্সের লিজিওঁ দোনা ও জাপানের অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান সম্মান। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন ফুটবল প্রশাসনের সঙ্গে। নির্বাচিত হন জর্ডান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ২০১১ থেকে পালন করছেন ফিফার এশিয়া অঞ্চলের সহসভাপতির দায়িত্ব।