পেলের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব-রেষারেষি শেষে যুক্তরাষ্ট্র-কিউবার সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তুলতে দুই দেশের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। সেই উদ্যোগে ফুটবলও পালন করতে যাচ্ছে বড় ভূমিকা। প্রায় ১৬ বছর পর প্রথম মার্কিন দল হিসেবে কিউবায় খেলতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক কসমস। এই স্মরণীয় সময়ে ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে উপস্থিত ফুটবল-কিংবদন্তি পেলে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ফুটবল-জীবনের শেষ বেলায় নিউইয়র্ক কসমসে খেলেছিলেন ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলে। সাবেক ক্লাবের সঙ্গে কিউবায় এই ঐতিহাসিক সফরের অংশীদার হতে যাচ্ছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। মঙ্গলবার এক প্রীতি ম্যাচে কিউবার জাতীয় দলের মুখোমুখি হবে নিউইয়র্ক কসমস। ম্যাচটা হবে কিউবার রাজধানী হাভানার পেদ্রো মারেরো স্টেডিয়ামে।
১৯৯৯ সালে সর্বশেষ কিউবা সফরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল দল বাল্টিমোর ওরিওল্স। এ বছরের শেষ নাগাদ আবার ওরিওল্স যেতে পারে কিউবা সফরে।
কিউবার বিপক্ষে নিউইয়র্ক কসমসের এই ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল এ বছরের শুরুতে। শেষ পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে উচ্ছ্বসিত কসমসের প্রধান নির্বাহী এরিক স্টোভার, ‘ঘটনাটা বেশ দ্রুতই ঘটতে যাচ্ছে। আমাদের শুধু সবাইকে রাজি করানোর জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। আমরা ওয়াশিংটনে গিয়েছিলাম চুপিসারে। কিন্তু সেখানে অনেক সমর্থন পেয়েছি।’
মে মাসের শুরুর দিকে কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল লিগের একটি ম্যাচ দেখানো হয়েছে। ওই ম্যাচে ছিলেন কিউবার এক খেলোয়াড়ও।
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে নিউইয়র্ক কসমসে শুধু পেলেই নন, আরেক কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারও খেলেছিলেন। এখন অবশ্য কসমস যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ফুটবল লিগ মেজর লিগ সকারে (এমএসএল) খেলার সুযোগ পায় না। অংশ নেয় দ্বিতীয় সারির নর্থ আমেরিকান সকার লিগে (এনএএসএল)।