মুশফিকের এ কেমন কিপিং, হাওয়ায় ভাঙলেন উইকেট!

ব্যাটিং দিয়ে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের টেস্ট দলের নেতৃত্বের ভারও আছে তাঁর কাঁধে। কিন্তু উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রায়ই সমালোচনার শিকার হন মুশফিক। আজ ভারতের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে যা ঘটল, তারপর নিশ্চিতভাবেই সেই সমালোচনার তীরগুলো হবে আরো তীক্ষ্ণ। উইকেটের পেছনে মুশফিক এমন এক ভুল করলেন, যা স্কুলপড়ুয়া ক্রিকেটাররাও করে কি না, সন্দেহ আছে।
হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বোলারদের ভুগিয়েই চলেছেন বিরাট কোহলি, মুরালি বিজয়, আজিঙ্কা রাহানেরা। একটা উইকেটের দেখা পাওয়ার জন্য কত সাধ্যসাধনাই না করতে হচ্ছে মিরাজ, তাইজুলদের। সেখানে একটি উইকেট নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল অধিনায়ক মুশফিকের বাজে কিপিংয়ের জন্য।
ঘটনাটা ১১৭তম ওভারের। রাহানে সাজঘরে ফেরার পর অল্প কিছুক্ষণ আগেই উইকেটে এসেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি উইকেটের হালহকিকত। তাইজুল ইসলামের একটা বল খানিকটা বেরিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন সজোরে। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগটা করতে পারেননি ঠিকঠাক। বল গিয়ে জমা হয়েছিল মুশফিকের গ্লাভসে। সেটা স্টাম্পে ছোঁয়ালেই সাজঘরের পথ ধরতে হতো ঋদ্ধিমানকে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে গ্লাভসটা স্টাম্পে ছোঁয়াতে পারলেন না মুশফিক। যেন হাওয়াতেই ভাঙলেন উইকেট। ব্যর্থ হলেন দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও। শেষ পর্যন্ত যখন স্টাম্প ভাঙলেন, ততক্ষণে নিরাপদেই ক্রিজে ব্যাট ছুঁইয়ে ফেলেছেন ঋদ্ধিমান।
বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে ডাক পড়েছিল থার্ড আম্পায়ারের। কিন্তু সেখানে শেষ পর্যন্ত নটআউট হিসেবেই ঘোষণা করা হয় ঋদ্ধিমানকে। ভারতের এই উইকেটরক্ষক হয়তো তখন মনে মনে কিছুটা হেসেই নিয়েছিলেন মুশফিকের কিপিং নিয়ে।
প্রথম দিনেও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন উইকেটরক্ষক মুশফিক। ইনিংসের দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির দুর্দান্ত ডেলিভারি পুজারার ব্যাটের কানায় লেগে চলে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের পক্ষে ক্যাচটা ধরা বেশ কঠিনই ছিল। মুশফিক চেষ্টা করলে হয়তো বলটা গ্লাভসবন্দি করতেও পারতেন। অথচ ক্যাচ ধরার কোনো চেষ্টাই করেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। মুশফিককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কারণ ক্যাচটা তাঁর পক্ষেই ধরা সম্ভব ছিল। ধারাভাষ্যকারদেরও বলতে শোনা যায়, ‘মিস্টার ক্যাপ্টেন, এটি আপনারই ক্যাচ ছিল।’