নিজের কীর্তির কথা জানতেনই না সাকিব!

টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নিয়েছেন। অথচ কীর্তিটার কথা নাকি জানতেনই না সাকিব আল হাসান! ফতুল্লা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই কীর্তির কথা শুনে উচ্ছ্বসিত বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
urgentPhoto
শুক্রবার ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘তাই নাকি! জানতাম না তো! আপনাদের কাছেই প্রথম শুনলাম। প্রত্যেক অর্জনই ভালো লাগার। এই অর্জন আমার কাছে অনেক।’
অবশ্য রেকর্ড বা কোনো অর্জনের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে মাঠে নামেন না সাকিব। তাঁর ভাষায়, ‘নিজের জন্য কিছু অর্জন করতে হবে, এমন ভাবনা নিয়ে আমি কখনোই খেলতে নামি না। দলের জন্য খেলাই আমরা কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দলের বাইরে কখনোই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করি না।’
শুক্রবার চার উইকেট নেওয়ায় দেশের মাটিতে সাকিবের টেস্ট উইকেটের সংখ্যা এখন ১০৩টি। ঘরের মাঠে এটা তাঁর ২৮তম টেস্ট। স্বদেশে ১৮ টেস্টে ৬৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।
বোলিংয়ের ধরন কিছুটা পাল্টে ফেলায় ফতুল্লায় সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘কাল রাতে ফাহিম স্যারের সঙ্গে (সাকিবের ছেলেবেলার কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম) কথা বলেছি। তাঁর পরামর্শে বোলিংয়ের ধরন কিছুটা পাল্টে ফেলেছি। তাই হয়তো আজ সাফল্য পেলাম। অবশ্য ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করতে পারিনি। তাহলে হয়তো আরো ভালো কিছু করা সম্ভব হতো।’
তিনদিন কেটে গেলেও ফতুল্লায় একটি ইনিংসও শেষ হয়নি এখনো। অনেকের মতো তাই সাকিবের মনেও উঁকি দিচ্ছে ড্রয়ের চিন্তা, ‘ক্রিকেটে আগাম মন্তব্য করা কঠিন। তবু বলব সব কিছু ঠিকঠাক হলে এই টেস্টে আমাদের পক্ষে ড্র করা সম্ভব। উইকেটটা বেশ ভালো। আমাদের এখন একটা কাজই করতে হবে। তা হলো যত বেশি সম্ভব ব্যাটিং করে যাওয়া।’
তবে উইকেট ব্যাটিং-সহায়ক মনে হলেও বিন্দুমাত্র আত্মপ্রসাদে ভুগছেন না সাকিব, ‘ভারতীয় দলে একাধিক বিশ্বমানের বোলার আছে। তারা ছেড়ে কথা বলবে না। আমাদের তাই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে।’