ভারতে প্রতিক্রিয়া

এক নো বলের এমন প্রতিশোধ!

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বকাপে নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে হারের স্বাদ দিয়ে প্রথমবারের মতো চলে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। সামনে ছিল নিজেদের আরো উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার হাতছানি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ হয় বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের বলি হয়ে। দুই-তিনটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মাথায় নিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হয় ভারতের কাছে হেরে। সেই হারটা কাঁটা হয়ে বিঁধেছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। কে জানে, হয়তো ক্রিকেটারদের মনেও।

আর সেই কাঁটা সরিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার কাজটা কী দারুণভাবেই না করলেন মাশরাফিরা। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের পর ওয়ানডেতে প্রথম মুখোমুখি হয়েই টানা দুই ম্যাচে জয় তুলে নিলেন দাপুটে নৈপুণ্য দেখিয়ে। ওয়ানডে সিরিজে হারের পর হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কায় থাকা ভারতীয় সমর্থকরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না, একটি নো বলের প্রতিশোধ এমনভাবে নেওয়া যেতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতের বাংলাদেশ সফরের আগে স্টার স্পোর্টসের একটি বিজ্ঞাপনকে ইঙ্গিত করে অনেকে বলেছেন, বাচ্চা এখন আর বাচ্চা নেই। বাবা দিবসে তারা যেন ভারতের বাপ হয়ে উঠেছে।

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রুবেল হোসেনের একটি বল রোহিত শর্মার কোমরের নিচে থাকার পরও নো বল ডেকেছিলেন আম্পায়ার আলিম দার। সেই বলে আউট হওয়া রোহিত হয়েছিলেন ভারতের ম্যাচ জয়ের নায়ক। সেই ম্যাচের পর বাংলাদেশের মধুর প্রতিশোধ দেখে ভারতীয় এক সমর্থক যেন অনুনয়ের সুরে লিখেছেন, ‘ঠিক আছে বাংলাদেশ। ওটা নো বল ছিল না। আর রাগ করে থেকো না বন্ধু।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কখনো ভাবিনি, একটা নো বলের প্রতিশোধ এভাবে নেওয়া হবে।’

এই সিরিজের আগে স্টার স্পোর্টস নির্মিত একটি বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গও এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায়। যেখানে বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছিল একটা বাচ্চা ছেলে হিসেবে, যে কোনো কিছুই ঠিকঠাক করতে পারে না। হঠাৎ সেই পিচ্চিকেই ভালো খেলতে দেখে সবাই বলে ওঠে, ‘বাচ্চা আর বাচ্চা নাই। বড় হয়ে গেছে।’ সেই বিজ্ঞাপনের রসিকতা করে অনেকে বলেছেন, বাচ্চা তো আর বাচ্চা নেই-ই। বাবা দিবসে উল্টো তারা ভারতের বাপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিশেষত, তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অনেক ভারতীয় সমর্থকও।

সামাজিক গণমাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে ধোনির সমালোচনাও। অনেকেই ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অনেকে আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ধোনিকে বাদ দিতে চান দল থেকেই। যে মহেন্দ্র সিং ধোনি ঠান্ডা মেজাজের কারণে বিশ্বখ্যাত, ভারতের সেই ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর মেজাজও বেসামাল করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সিরিজ হারের পর অভিমান করে ধোনিও বলেছেন, প্রয়োজন হলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা।

২৪ জুন সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তানের পর ভারতকেও হোয়াইটওয়াশের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। অন্যদিকে অন্তত একটি জয় দিয়ে কিছুটা মান রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।