হোয়াইটওয়াশ করতে উন্মুখ বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!

এক ম্যাচ হাতে রেখেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। মাশরাফির দল এখন আরেকটি হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নে বিভোর। বুধবার শেষ ম্যাচ জিততে পারলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের পর ভারতকেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবাতে পারবে বাংলাদেশ।
 
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল। তারপর জিম্বাবুয়েকে বেশ কয়েকবার ধরাশায়ী করে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে হোয়াইটওয়াশও করেছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরেকটি সাফল্য পেয়েছে। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার আনন্দে ভেসেছিল বাংলাদেশ। পরের বছর হোয়াইটওয়াশের শিকার হয় নিউজিল্যান্ড। ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
 
বিশ্বকাপের পর গত এপ্রিলে পাকিস্তানকেও পুড়তে হয় বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের যন্ত্রণায়। এবার ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। টেস্ট দলের বাইরে কেনিয়া, স্কটল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা নিয়ে অবশ্য এখন আর তেমন উচ্ছ্বাস নেই।

ইদানীং ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ একেবারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। টানা ১০ ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস আর অনুপ্রেরণা সঙ্গে নিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিকদের দল। তবে এই চার তারকাকে ছাপিয়ে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ১৯ বছরের তরুণ মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ভারতীয়দের কাছে যিনি ‘রহস্যময়’ বাঁ-হাতি পেসার।

প্র্রথম ম্যাচে ৫ ও পরেরটিতে ৬ উইকেট শিকার করে ইতিহাসগড়া মুস্তাফিজের সামনে অসাধারণ এক অর্জনের ছানি। বুধবার শেষ ওয়ানডেতেও পাঁচ উইকেট নিতে পারলে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের অনন্য কীর্তি স্পর্শ করবেন সাতক্ষীরার এই তরুণ। কীর্তিটা টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার।

সিরিজের একমাত্র টেস্টে বিঘ্ন ঘটিয়েছে বৃষ্টি। প্রথম দুই ওয়ানডেতে বৃষ্টি হানা দিলেও শেষ পর্যন্ত শেষ করা গেছে দুটো ম্যাচই। তৃতীয় ওয়ানডেকেও এই যন্ত্রণা সইতে হতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বুধবার ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে ঢাকায়।