আরেকটি হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নভঙ্গ

Looks like you've blocked notifications!

আরেকটি হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশের মানুষ। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ের পর ভারতকেও সিরিজের সব ম্যাচে হারানোর স্বপ্ন পূর্ণ হলো না। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭৭ রানে হেরে গেলেও সিরিজ জয়ের স্মারক ট্রফি কিন্তু মাশরাফির দলের অধিকারেই।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৩১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তামিম ইকবালকে (৫) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন ধাওয়াল কুলকার্নি। অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার অবশ্য তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু কুলকার্নিকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। ৩৪ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সৌম্যর অবদান ৪০ রান।

এরপর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ২৪ রান করা মুশফিককে কট বিহাইন্ড করে জুটিটা ভাঙেন সুরেশ রায়না। কিছুক্ষণ পর অক্ষর প্যাটেল বোল্ড করেন লিটনকে (৩৪)। সাকিব (২০) রায়নার শিকার। অযথা তুলে মারতে গিয়ে লংঅন থেকে ছুটে আসা কুলকার্নির দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।

১৪৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর সাব্বির রহমান ও নাসির হোসেনের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৪৩ রান করা সাব্বিরকে বোল্ড করে ৪৯ রানের জুটিটা ভেঙে দিয়েছেন স্টুয়ার্ট বিনি। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে (০) বোল্ড করে বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শেষ ভরসা নাসির হোসেনও দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেননি। ৩২ রান করে অশ্বিনের বলে আম্বাতি রাইডুকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এরপর আর পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ, ৪৭ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে গেছে। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার রায়না। দুটি করে উইকেট অশ্বিন ও কুলকার্নির।

২১ বলে ৩৮ রান করার পর বল হাতেও জ্বলে ওঠা রায়না ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়ায় অনুমিতভাবেই সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩১৭ রান করেছে ভারত। অতিথিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ ৬৯ রান অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির।

৩ উইকেট নিলেও সেজন্য মাশরাফির খরচ ৭৬ রান। বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের নায়ক মুস্তাফিজের ৫৭ রানের বিনিময়ে শিকার দুটি।