সাবেক কোচের মুখোমুখি মেসি

Looks like you've blocked notifications!

২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লিওনেল মেসির অভিষেক হয়েছিল হোসে পেকারম্যানের হাত ধরে। আর্জেন্টিনার সে সময়ের কোচের অধীনেই ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তিনি। তার পর আর্জেন্টিনার হয়ে ১০০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। ১০১তম ম্যাচে মেসির প্রতিপক্ষ পেকারম্যান। শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে পেকারম্যানের কোচিংয়ে খেলতে আসা কলম্বিয়া।

ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে অনেক সাফল্য পেলেও আর্জেন্টিনার বিখ্যাত আকাশি-সাদা জার্সিতে এখনো বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি মেসি। এবারের কোপা আমেরিকা জিততে তাই মরিয়া ফুটবল-মহাতারকা। লক্ষ্যপূরণে প্রথম বাধা কলম্বিয়া, যাদের কোচ আবার তাঁরই সাবেক ‘গুরু’। পেকারম্যানের প্রতি অবশ্য আজো মেসির মনে অসীম শ্রদ্ধা, ‘পেকারম্যান আমাকে এমন কিছু উপদেশ দিয়েছেন, যেগুলো আমি কখনো ভুলব না।’

অন্যদিকে, পেকারম্যানের সামনে ২০০১ সালের পর কলম্বিয়াকে দ্বিতীয় কোপার শিরোপা এনে দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। কোপা-মিশনে তাঁর প্রধান অস্ত্র গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হামেস রদ্রিগেজ। ফলাফল যা-ই হোক, শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে কলম্বিয়া শক্ত পরীক্ষায় ফেলবে বলেই পেকারম্যানের বিশ্বাস, ‘আমরা জানি যে তাদের (আর্জেন্টিনার) অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমার মনে হয়, মাঠে দুই দলের সামনেই সমান সুযোগ থাকবে। কারণ, কলম্বিয়াও অনেক ভালো খেলে। কাজেই ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’

গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ জিতে ও একটিতে ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে কলম্বিয়া জয় পেয়েছে মাত্র একটি ম্যাচে। সেটা অবশ্য ব্রাজিলের বিপক্ষে। এবারের প্রতিযোগিতায় পারফরম্যান্সের মতো কোপা আমেরিকায় মুখোমুখি লড়াইয়েও আর্জেন্টিনা অনেক এগিয়ে। লাতিন আমেরিকার সেরা টুর্নামেন্টে আগের নয়টি মুখোমুখি লড়াইয়ে ছয়টিতেই জিতেছে ম্যারাডোনার দেশ। এর মধ্যে ১৯৪৫ সালে আর্জেন্টাইনরা কলম্বিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৯-১ গোলে। ১৯৯১ সালের ফাইনালে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েই আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার ত্রয়োদশ শিরোপা জিতেছিল। এবার মেসি-আগুয়েরোদের সামনে  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির হাতছানি।