নিজেদের ফিরে পাওয়ার লড়াই

Looks like you've blocked notifications!

চিলির শহর ভিনা ডেল মারে। এ শহরের একটা ডাক নামও আছে। আদর করে এ শহরকে সবাই ডাকে গার্ডেন সিটি। শহরে বাগানের সৌরভ আর রঙের কমতি নেই। এর সঙ্গে কি জুড়বে কোপা আমেরিকার আজকের কোয়ার্টার ফাইনালের রং?

কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় কোয়ার্টার ফাইনালে এ বাগানের শহরে আর্জেন্টিনার মোকাবিলা করবে কলম্বিয়া। কিন্তু দুই দলের সাম্প্রতিক খেলায় মন ভরছে না দর্শকদের। মেসির আকাশি-সাদা রং যেমন দিক পাচ্ছে না তেমনি বিবর্ণ কলম্বিয়ানদের হলুদ। 

আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির ১০১তম ম্যাচ। মেসি মুখোমুখি হবেন তাঁর সাবেক গুরু হোসে পেকারম্যানের। ফিফা র‍্যাংকিংয়ের তিন নম্বর আর চার নম্বর দলের লড়াই। কোপা আমেরিকা ফুটবলের আজকের কোয়ার্টার ফাইনালের আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়ার খেলার অনেক বিশেষণ দেওয়া যায়। 

কিন্তু কাগজে কলমে এমন বিশেষণ দেওয়া যায় ভূরি ভূরি। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার মর্যাদার এ টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া রং ছড়াতে পারল কোথায়? 

গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দুটিতে জয় ও একটিতে ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে মেসির দল। অন্যদিকে মাত্র একটি জয় নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে কলম্বিয়া।  
 
আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ আর মধ্যমাঠের অন্যতম কাণ্ডারি হাভিয়ের ম্যাসকারানো নিজদলের বিবর্ণ অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মেলে ধরতে চায় ম্যাসকারানোর দল। সমর্থকদের ভরসা আর আস্থা চেয়েছেন তিনি। আর সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, ‘দলের ফুটবলারদের আরো ভালো খেলতে হবে।’ 

দলের দুরবস্থা কাটাতে পারলে আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা বা হার্নান ক্রেসপোকে ব্যবহার করতেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টাইন পত্রিকা ‘ওলে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই বললেন ডি মারিয়া। তিনি বলেন, ‘দর্শক আর সাংবাদিকরা অনেক কথা বলে। কিন্তু রক্ষণভাগে থাকা প্রতিপক্ষের ১০ জনের বিরুদ্ধে খেলা খুবই কঠিন।’ গত বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা কোচ সাভেলার ধরনে খেলেছে আর এখন কোচ মার্টিনোর ধরনটা সাভেলার চেয়ে আলাদা। এ ব্যাপারটাও মনে রাখার অনুরোধ করলেন ডি মারিয়া।
  
আন্তর্জাতিক ফুটবলের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম কেবল ম্যাসকারানোদের নয় জানিয়েছে কলম্বিয়ান লড়াকুদের খবরও।

গত বিশ্বকাপে নজর কাড়া কলম্বিয়া যেন হারিয়ে ফেলেছে পথ। কোচ হোসে পেকারম্যান যেন কিছুতেই বের করে আনতে পারছেন না দলের সেরা খেলাটা। রাদামেল ফ্যালকাও ফর্মে নেই। বিশ্বকাপে কাঁপিয়ে দেওয়া রদ্রিগেজকেও খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে। 

এরপরও আশায় বুক বেঁধেছেন ভিক্টর ইবার্বো। কোয়ার্টার ফাইনালেই দেখা হয়ে গেল আর্জেন্টিনার সঙ্গে। আর তাইতো তিনি বলছেন, ‘আমরা সব কিছুতেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখব। আমাদের সেরাটা দিয়েই আমরা মাঠে উত্তর দিব।’ জানিয়ে দিলেন দলে একতার কথাও, ‘দলটি এখন একটি পরিবারের মতো।’ 

অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন ম্যাসকারানো কিন্তু বার বার মনে করিয়ে দিলেন, কলম্বিয়ার মূল অস্ত্র ফ্যালকাও। যেকোনো সময় জ্বলে ওঠতে পারেন তিনি।