কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে ম্যাককালামের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (বাঁয়ে) আর ক্রিস কেয়ার্নস—সাবেক দুই সতীর্থ এখন মুখোমুখি অবস্থানে। ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় ক্রিস কেয়ার্নসের নাম নিঃসন্দেহে ওপরের দিকে থাকবে। অথচ তিনিই কি না ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে জর্জরিত। কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন নিউজিল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ২০০৮ সালে কলকাতার একটি হোটেলে কেয়ার্নস তাঁকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ম্যাককালাম।

২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার দুই বছর পর অধুনালুপ্ত ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ বা আইসিএলে খেলেছিলেন কেয়ার্নস। সে সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল নামে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলছিলেন ম্যাককালাম। তখনই নাকি অনৈতিক প্রস্তাবটা পান কিউই অধিনায়ক। সাত বছর কেটে গেলেও সেদিনের কথা আজও ম্যাককালামের স্মৃতিতে উজ্জ্বল।

কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার তদন্ত চলছে এখন। লন্ডনের একটি আদালতে এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ম্যাককালাম বলেছেন, “তাঁর প্রস্তাব পেয়ে আমি ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। প্রথমে মনে করেছিলাম, তিনি বোধ হয় মজা করছেন। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলাম যে তা নয়। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (স্পট ফিক্সিং) তো সবাই করছে। অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ও করছে। তুমিও কি এর সঙ্গে জড়াতে চাও?’”

প্রতিটি স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ ডলারের প্রলোভন দিয়েছিলেন কেয়ার্নস। ২০০৮ সালে ম্যাককালামকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য তিনবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রতিবারই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ম্যাককালাম। দ্বিতীয়বার প্রস্তাবের সময় কেয়ার্নস বলেছিলেন, ‘মনে রেখো, আমাদের মধ্যে এমন কথাবার্তা কিন্তু কখনোই হয়নি।’

২০১০ সালে কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এনেছিলেন আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যান ললিত মোদি। তবে এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করে উল্টো মোদির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কেয়ার্নস। কিন্তু ম্যাককালামের এমন বক্তব্যের পর নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের সামনে বড় ধরনের শাস্তির আশঙ্কা।

কেয়ার্নসের ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দারুণ সমৃদ্ধ। ৬২ টেস্টে খেলে ৩,৩২০ রান করার পাশাপাশি ২১৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটেও দারুণ সফল। ২১৫টি ওয়ানডেতে ৪,৯৫০ রান করা ছাড়াও মিডিয়াম পেসে তাঁর ‘শিকার’ ২০১টি উইকেট। ২০০০ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে (যা এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নামে পরিচিত) কেয়ার্নসের দারুণ এক শতকের সুবাদে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সে বছর উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।