পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মহানুভবতা
ভূমিকম্পের দুঃসংবাদ যখন পেলেন, তখন জয় তাঁদের হাতের মুঠোয়। তবে দুবাই টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৭৮ রানে হারালেও জয়োৎসব করেননি পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। বরং ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন দেশের খবর নেওয়ার জন্য। সোমবার পাকিস্তান-আফগানিস্তানে এক ভয়ংকর ভূমিকম্পে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে মিসবাহ-ইউনুসরা মর্মাহত। সিরিজ শেষে দেশে ফিরে ত্রাণকার্যে অংশ নিতে তাঁরা ব্যাকুল।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। কারণ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে ত্রাণকর্মীদের যথাসময়ে পৌঁছানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
খেলার মাঠেই দুঃসংবাদটা পেয়ে স্তম্ভিত মিসবাহ-উল-হক। বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের কণ্ঠে ধরা পড়েছে দেশে ফেরার আকুলতা, ‘ভূমিকম্পের খবরটা শুনে আমরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা। এই দুঃসংবাদ আমাদের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে। আমাদের দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় দুঃখিত। তারা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে ত্রাণকার্যে অংশ নিতে চায়।’
পাকিস্তানের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলমের কণ্ঠেও অধিনায়কের কথারই প্রতিধ্বনি, ‘দুর্গত পরিবারগুলোর পাশেই আছি আমরা। খেলোয়াড়রা এখনই দেশে ফিরে ত্রাণকার্যে অংশ নিতে ব্যাকুল।’
সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন বোধহয় ইউনুস খান। দুবাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শতক করে দলের জয়ে বড় অবদান রাখা ইউনুসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। আর ভূমিকম্পে পাকিস্তানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা ইউনুস তাই বেদনার্ত, ‘আমাদের প্রাণপ্রিয় জাতির জন্য এটা এক বিশাল দুর্যোগ। আমাদের সব খেলোয়াড় বিপর্যস্ত পরিবারগুলোর পাশেই আছে। দেশে ফিরে আমি অবশ্যই ত্রাণকার্যে অংশ নেব। দেশের বিপদগ্রস্ত ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।’