পেসার কামরুলের স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাস
এখন পর্যন্ত ৪০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। বয়স ২৪ ছুঁই-ছুঁই। বেশ দেরিতে হলেও অবশেষে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন এই পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ঘোষিত দলে আছেন তিনি। স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় দারুণ খুশি কামরুলের লক্ষ্য নিজেকে প্রমাণ করা।
২০০৭ সালে ‘গ্রামীণফোন পেসার হান্ট’ থেকে ক্রিকেটের বৃহৎ আসরে কামরুলের আগমন। তারপরই সুযোগ পান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। ২০০৮ সাল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট ভালো পারফম্যান্সের পুরস্কারও পেয়েছেন সম্প্রতি, বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে।
চোটের কারণে পেসার তাসকিন আহমেদ ভারত সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে আসায় কপাল খুলে যায় কামরুলের। ভারতে কর্ণাটকের বিপক্ষে একটি তিনদিনের ম্যাচ খেলে মাত্র এক উইকেট পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন তিনি। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা আর জিম্বাবুয়ে সফরেও ‘এ’ দলে জায়গা পেয়ে যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় উজ্জ্বল পারফরম্যান্সই (৪ ম্যাচে ৯ উইকেট) জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছে কামরুলের জন্য।
এখন তাঁর একটাই লক্ষ্য, প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া। রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে কামরুল বলেন, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় আমার স্বপ্ন আংশিক পূর্ণ হয়েছে। এবার লক্ষ্য প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়া। নির্বাচকদের আমার ওপর রাখা আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’
তবে মাঠে নামার সুযোগ পেলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই কামরুলের, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছি। অভিজ্ঞতা কম হয়নি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে আশা করছি সাফল্য পাব। তবে সেজন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই আমার।’
বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসার অভিজ্ঞতা দেশের মাটিতে কাজে আসবে বলেই মনে করেন কামরুল, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট সাধারণত বাউন্সি হয়। তাই পেসাররা সেখানে অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে। সে তুলনায় আমাদের উইকেট বেশ ধীরগতির। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসার অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও কাজে আসবে আমার।’