বিপিএলের আইন কি শিথিল হয়েছে?
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক দলকে প্রতিটি ম্যাচে চারজন বিদেশি খেলোয়াড় প্রথম একাদশে রাখতেই হবে। টুর্নামেন্টের বাইলজে যা লেখা আছে স্পষ্টভাবে। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে চারজন নয়, দুজন বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছে সিলেট সুপারস্টার্স। বিপিএলের তৃতীয় আসরের দ্বিতীয় দিনেই এমন বিতর্কিত ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাইলজে পরিবর্তন এসেছে? চারজন বিদেশি খেলানোর আইন কি শিথিল হয়েছে?
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় চিটাগং ভাইকিংস-সিলেট সুপারস্টার্স ম্যাচ শুরু হয়েছে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর। দুই বিদেশি রবি বোপারা ও জশুয়া কবের অনানুমতিপত্র বা এনওসি খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগে এলেও সিলেটের খেলোয়াড় তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। ভাইকিংসের আপত্তির কারণে তাঁরা মাঠেও নামতে পারেননি। সিলেট সুপারস্টার্স তাই দুই বিদেশি অজন্তা মেন্ডিস ও দিলশান মুনাবিরাকে নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হয়েছে।
সিলেট কি তাহলে মাত্র চারজন বিদেশিকে দলভুক্ত করেছে? না, তা নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার ফিদেল এডওয়ার্ডস আর ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ওয়াইজ শাহ এনওসি জটিলতায় মুশফিকের দলের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি।
আরো দুজন নিবন্ধিত বিদেশিকে এখনই পাচ্ছে না সিলেট। দুজনই পাকিস্তানি—অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি আর বাঁ-হাতি পেসার সোহেল তানভীর। দুজনই এ মুহূর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দুবাইয়ে পাকিস্তান দলের সঙ্গে আছেন। এই সিরিজের কারণে ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডানও এখনো যোগ দিতে পারেননি সিলেট সুপারস্টার্সে।
এ প্রসঙ্গে বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘ক্রিকেটের স্বার্থে এবং টুর্নামেন্টকে স্বচ্ছ রাখার লক্ষ্যে আমরা সিলেটকে দুজন বিদেশি নিয়ে মাঠে নামার অনুমতি দিয়েছি। বিপিএলের বাইলজে একটা ধারা আছে যে টেকনিক্যাল কমিটি চাইলে মাঠের ভেতরেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা অনড় অবস্থানে থাকলে যেকোনো দল ওয়াকওভার দিতে পারত। তেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এমন বিতর্কের জন্য সিলেট সুপারস্টার্সকেই দায়ী করছেন জালাল ইউনুস, ‘সিলেটের উচিত ছিল এনওসি আগেই এনে রাখা। তাদের ভুলের কারণে এমন পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দুদলই সহযোগিতা করায় ম্যাচটা হতে পেরেছে।’