মহাশূন্য থেকে দৌড়াবেন লন্ডন ম্যারাথনে!
মহাশূন্যে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রেখে জীবনযাপন করতেই অনেক কসরত করতে হয় নভোচারীদের। অভ্যস্ত হতে হয় মাধ্যাকর্ষণ-শূন্য পরিবেশের সঙ্গে। স্বাভাবিক জীবনযাপনই যেখানে অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার, সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌড়ে যাওয়া যে খুবই কঠিন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সব বাধা পেছনে ফেলে ঠিক সেই কাজটাই করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের নভোচারী টিম পিক। মহাশূন্য থেকেই আগামী বছরের লন্ডন ম্যারাথনে অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক মহাশূন্য কেন্দ্রের এই বাসিন্দা।
শরীরে বিশেষ একটা যন্ত্র জুড়ে নিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই ঘণ্টা করে শারীরিক কসরত করতে হয় নভোচারীদের। এর মাধ্যমেই তাঁরা মাধ্যাকর্ষণ-শূন্য পরিবেশে নিজেদের শারীরিক সুস্থতা ধরে রাখেন। পিক এই যন্ত্র গায়ে চাপিয়েই মহাশূন্য থেকে দৌড়াবেন লন্ডন ম্যারাথনের জন্য। পুরো ২৬ মাইল দৌড়ানোর প্রত্যয়ই ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই খ্যাপাটে নভোচারী। তবে নিজের সেরা টাইমিং করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন পিক।
‘আমি যে যন্ত্রটা গায়ে চড়াব, সেটা কোমর ও কাঁধের সঙ্গে বাঁধা থাকবে। এটা আমার শরীরকে মাটিতে রাখবে। ৪০ মিনিট এভাবে থাকার পর সেটা খুবই অসুবিধাজনক হয়ে দাঁড়ায়। ফলে আমি হয়তো নতুন করে নিজের সেরা টাইমিং করতে পারব না। সাড়ে তিন বা চার ঘণ্টার মধ্যে দৌড় শেষ করব বলে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’ ১৯৯৯ সালে তিন ঘণ্টা ১৮ মিনিটে ম্যারাথন দৌড় শেষ করেছিলেন পিক। এটাই তাঁর সেরা টাইমিং।
মহাশূন্য থেকে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার কীর্তি অবশ্য আগেই গড়া হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম নভোচারী হিসেবে বোস্টন ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন নাসার সুনিতা সুনি উইলিয়ামস। তাঁর পরে পিক-ই আবার নিতে যাচ্ছেন এই অভিনব উদ্যোগ। আগামী বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে লন্ডন ম্যারাথন।