কুমিল্লা পেল ২ কোটি, বরিশালের ভাগে ৭৫ লাখ
জাতীয় দলকে একের পর সাফল্য এনে দিয়ে বাহবা কুড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিপিএলেও সেই ধারাবাহিকতা। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। আরেকবার বনেছেন জয়ের নায়ক। উপহার হিসেবে তাঁর দল পেয়েছে ২ কোটি টাকা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হতাশ করেনি রানার আপ দল বরিশাল বুলসকেও। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি পেয়েছে ৭৫ লাখ টাকা।
বিপিএলের এবারের আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট আশার জাইদি পেয়েছেন ৫০০ ডলার। ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ অলক কাপালিও পেয়েছেন ৫০০ ডলার। এ দুজনই পেয়েছেন একটি করে মোটরসাইকেল।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নৈপুণ্য দেখিয়েছেন আবু হায়দার রনি। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ডলার।
বিপিএলের উত্তেজনায় ভরা ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ও বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর ৪৮ ও শাহরিয়ার নাফীসের অপরাজিত ৪৪ রানের দুটো চমৎকার ইনিংসের সুবাদে চার উইকেটে ১৫৬ রান করেছিল বরিশাল বুলস।
জবাবে শুরু থেকেই ভালো খেলছিল কুমিল্লা। মাঝখানে খানিকটা ছন্দপতনের পর শেষ ওভারে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য।
সামির করা ওভারে ১৩ রান করতে হতো মাশরাফির দলকে। প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান শুভাগত হোম। দ্বিতীয় বলে বাই রান হওয়ায় স্ট্রাইক পেয়েছেন অলক। তৃতীয় বলে অলকের চমৎকার পুল চার রান এনে দিয়েছে কুমিল্লাকে। চতুর্থ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে আবার চার। পঞ্চম বলে দুই রান নেন অলক।
শেষ বলে দরকার ছিল এক রান। ফাইন লেগে বল ঠেলে এক রান নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন অলক। ২৮ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে তিনিই শেষ পর্যন্ত কুমিল্লার জয়ের নায়ক।
হেরে গেলেও মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কথা বলতেই হবে। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও জ্বলে উঠে ২৩ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক।
ম্যাচ জয়ের পরই কুমিল্লার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা মাঠে নেমে পড়েন। আর আতশবাজি ফোটানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দলটির সমর্থকরা।