পুরোনো অস্ত্রেই ভারত বধের পরিকল্পনা
১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল চার পেসারের দল নিয়ে। জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা, গোলাম ফারুক সুরু, গোলাম নওশের প্রিন্স ও সামিউর রহমানরা ছিলেন সেই চার পেসার। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে এবারের এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে চার পেসার নিয়ে।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলে থাকা চার পেসার হলেন- অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, আল আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
অবশ্য গত বছর জুনে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশ খেলেছিল চার পেসার নিয়ে। সেবার দারুণ সাফল্যও পেয়েছিল মাশরাফি বাহিনী। ভারতকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ওয়ানডে সিরিজ। গত জুনের সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল তরুণ বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাশরাফি, রুবেল হোসেন ও তাসকিন। এবার রুবেলের জায়গায় দলে এসেছেন আল আমিন হোসেন। এশিয়া কাপের ১৫ সদস্যের দলে জায়গা করে নিতে পারেননি রুবেল।
এর আগে বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে চার পেসার খেলানো হলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি গাজী আশরাফ হোসেন লিপুরা। বাংলাদেশ মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয়েছিল। হেরেছিল সাত উইকেটে।
নব্বইয়ের দশকের সেই আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার পেসারকে নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে সেদিনও সাত উইকেটে হেরেছিল তারা। নব্বইয়ের দশকেও কয়েকটি ম্যাচ চার পেসার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। তারপর অবশ্য স্পিনারদের দাপটে চার পেসার ‘তত্ত্ব’ হারিয়েই যেতে বসেছিল।
ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আবার চার পেসার নিয়ে খেলার বিলাসিতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। চার পেসার নিয়ে খেলতে নামায় বাংলাদেশ দলে কোনো 'বিশেষজ্ঞ' স্পিনার নেই। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বাঁ-হাতি স্পিনের সঙ্গে মাশরাফির দলকে নির্ভর করতে হবে সাব্বির রহমানের অফস্পিনের ওপর।