বাঘেরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বলছেন সাকিব
ভারতের বিপক্ষে ৪৫ রানের হতাশাজনক হার দিয়ে এশিয়া কাপের শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এরপর টানা দুইটি ম্যাচে জয় দিয়ে সত্যিই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাশরাফি বাহিনী। আরব আমিরাতকে হারানোর পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও। শুধু ওয়ানডেতে না, টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশ যেন হয়ে উঠছে ভীতি জাগানিয়া শক্তি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানের দারুণ জয়ের পর পরই সাকিব ফেসবুকে পোস্ট করেছেন একটি ছবি। বড় বড় করে লিখেছেন, ‘বাঘেরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে!’
ঘুরে আসলে সাকিবই দাঁড়িয়েছেন দারুণভাবে। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখানোর জন্য যার ডাক আসে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে, সেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। ব্যাট হাতে করতে পেরেছেন মাত্র ১৬ রান। বল হাতে অবশ্য নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার ক্যাচ মিস করে পড়েছিলেন সমালোচনার মুখে। সাকিবের পারফরম্যান্সটা ঠিক সাকিবসুলভ হচ্ছিল না।
সেই সাকিব দারুণভাবে ফিরলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। মাত্র ২৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ার পর খেলেছেন ৩৪ বলে ৩২ রানের সময়োপযোগী ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে সাব্বির রহমানের সঙ্গে সাকিবের ৮২ রানের দারুণ জুটির সুবাদেই বাংলাদেশ পেয়েছে ১৪৭ রানের লড়াইয়ের পুঁজি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন বল হাতে। চতুর্থ ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই তুলে নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানের উইকেট। ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সেহান জয়সুরিয়াকেও সাজঘরমুখী করে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। ৫৪ বলে ৮০ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে সাব্বির রহমানের হাতে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি জয়ের ইতিহাস গড়ার পেছনে সাকিবের অবদানটাও মনে রাখার মতো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর ফাইনালের আশা আরো জোরদার হয়েছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততে পারলেই ফাইনালে চলে যাবেন মাশরাফি-সাকিবরা। ২০১২ সালের ফাইনালে সেই দুই রানের আক্ষেপভরা হারটা নিশ্চয়ই এখনো ভোলেননি সাকিব! এবারই সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে জয়ের আনন্দে হাসতে পারবেন সাকিবরা, এমন প্রত্যাশা নিয়েই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সমর্থকরা।