‘ঘরের মাঠে’ সাকিবের ওপর বাড়তি নজর

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে একটিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটারদের। ১৯৯০ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ যেবার উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল তখন জন্মই হয়নি মুস্তাফিজ-তাসকিন-সাব্বিরদের। তাই বলে ইডেনের পিচ-কন্ডিশন সম্পর্কে বাংলাদেশের যে কোনোই ধারণা নেই, তা কিন্তু না। আইপিএলে খেলার সুবাদে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এই ইডেনকেই বানিয়ে ফেলেছেন ঘরের মাঠ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তাই বাড়তি নজর থাকবে সাকিবের ওপর।
২০১১ সাল থেকে আইপিএলের টানা পাঁচটি আসর সাকিব খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতার শিরোপা জয়ের পেছনেও ভালো অবদান রেখেছিলেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। আইপিএলে খেলার সুবাদে ইডেন গার্ডেনসেও সাকিব খেলে ফেলেছেন ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বল হাতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। ৯ ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে করেছেন ১৪৮ রান। এবার পরিচিত এই মাঠে জাতীয় দলের জার্সি গায়েও সাকিব জ্বলে উঠতে পারবেন, এমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এরই মধ্যে বেশ ভালোই কাজে লাগিয়েছেন সাকিবের ইডেন অভিজ্ঞতা। পিচের খুঁটিনাটি নিয়ে দীর্ঘ আলাপ করেছেন সাকিবের সঙ্গে। ইডেনে সাকিব যে বাংলাদেশের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন তা জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফিও, ‘সাকিব আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। এই মাঠের ব্যাপারে তার কাছ থেকে আমরা অনেক তথ্য নিতে পারব।’
সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য খুব একটা ভালো ফর্মে নেই সাকিব। এশিয়া কাপের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ছিলেন নিষ্প্রভ হয়ে। এবার চিরচেনা ইডেন গার্ডেনস দিয়েই সাকিব আবার স্বরূপে ফিরতে পারবেন, এমনটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশের সমর্থকদের।