গ্যালারিও ছিল পাকিস্তানের পক্ষে!
১৯৯০ সালের পর আবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে কলকাতাবাসীর সমর্থন বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে, এমনটাই হয়তো আশা করেছিলেন অনেকে। ম্যাচের আগে এ নিয়ে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর দেখা গেল পুরো ভিন্ন চিত্র।
মোহাম্মদ হাফিজ, শহীদ আফ্রিদিরা যখন একের পর এক চার-ছয় মারছিলেন, তখন উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন ইডেনের দর্শকরা। সবকিছুই বিপক্ষে যাওয়ার ম্যাচে দর্শকদেরও পাশে পায়নি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের চেয়ে ভারতে বেশি ভালোবাসা পান- আফ্রিদির এই মন্তব্যকে সত্যি প্রমাণ করতেই যেন পাকিস্তানের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছেন ইডেনের দর্শকরা।
তামিম-সাব্বিররা যখন বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি মারছিলেন, তখনো বলতে গেলে গ্যালারি নীরবই দেখা যায়। বিপরীতে পাকিস্তান উইকেট পেলেই দেখা যায় তুমুল উচ্ছ্বাস।
কলকাতায় গ্যালারির এমন দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই মন্তব্য করছেন, গ্যালারি দেখে বোঝা যাচ্ছিল না, জায়গাটা কলকাতা নাকি করাচি?
৫৫ রানের বড় ব্যবধানের হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে শুরুটাই হয়েছিল আক্ষেপ দিয়ে। টানা ষষ্ঠ ম্যাচের মতো টস হেরেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছুও হতে পারত। ইডেনের ব্যাটিং সহায়ক পিচে শুরুতে ব্যাটিং করার ফায়দাটাও খুব ভালোমতো কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান। আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ ও আফ্রিদির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ২০১ রান। বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হওয়ার পরপরই।
এরপর বিকেলে ব্যাটিং উইকেট অনেকটাই বোলিং সহায়ক হয়ে ওঠে। বলে বাঁকও আসছিল বেশ। ফলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা আরো কঠিন হয়ে ওঠে।
শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পারে ছয় উইকেটে ১৪৬ রান।