এবারের বিশ্বকাপ দেখল সবচেয়ে ছোট ক্রিকেট ম্যাচ

দিন দিন ছোটই হচ্ছে ক্রিকেট ম্যাচের পরিধি। পাঁচদিনের টেস্ট থেকে ৫০ ওভারের ওয়ানডে। এরপর শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টির যুগ। ২০ ওভারের উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই। কখনো কখনো আরো কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমন একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে মাত্র ১২ ওভারের মধ্যে। ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ।
ধর্মশালায় বাছাইপর্বের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই বিঘ্ন ঘটিয়েছিল বৃষ্টি। ভেস্তে গেছে দুইটি ম্যাচ। আয়ারল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটিও পড়েছিল বৃষ্টির বাধার মুখে। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কাই ভর করেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। কিন্তু শেষপর্যন্ত খেলাটি মাঠে গড়ানোয় দেখা গেছে সবচেয়ে ছোট ক্রিকেট ম্যাচ। ফলাফল পাওয়া গেছে এমন ম্যাচগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে ছোট ম্যাচের নতুন রেকর্ড। দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয়েছিল মাত্র ১২ ওভার। ব্যাট-বলের এই সংক্ষিপ্ত লড়াই শেষে ১২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল নেদারল্যান্ডস।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সংক্ষিপ্ত ম্যাচটি হয়েছিল ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের ম্যাচটি ছিল ৭ ওভারের। দুই দল মিলে ১৪ ওভারের খেলা হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ১৩ ওভারের মধ্যে। এক ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে ছোট ম্যাচ দেখা গেছে ২০০১ সালে। শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি পেসার চামিন্দা ভাসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৫.৪ ওভারের মধ্যে। মাত্র ৩৮ রানে।
সেসময় এটিই ছিল সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের নতুন রেকর্ড। ম্যাচটা শ্রীলঙ্কা জিতে নিয়েছিল ৪.২ ওভার ব্যাটিং করে। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে খেলা হয়েছিল মোট ২০ ওভার। মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে আটটি উইকেট নিয়েছিলেন ভাস। এটিই ওয়ানডেতে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড হিসেবে এখনো টিকে আছে।