বার্সা অন্যায্য সুবিধা পেয়েছে, অভিযোগ তোরেসের

Looks like you've blocked notifications!

২৫ মিনিটের মাথায় ফার্নান্দো তোরেসের গোল স্তব্ধ করে দিয়েছিল ন্যু ক্যাম্পের দর্শককে। ২০১৩-১৪ মৌসুমের মতো এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগেও আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার আশঙ্কাই হয়তো ভর করেছিল বার্সেলোনা সমর্থকদের মনে। কিন্তু গোল করার পরের ১০ মিনিটের মধ্যেই দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তোরেসকে। শুরুতে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আতলেতিকোকে। প্রতিপক্ষের মাঠে দারুণ এক জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তোরেস। বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।

২৯ ও ৩৫ মিনিটের মাথায় দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তোরেসকে। ৩৫ মিনিটের পর থেকেই আতলেতিকোকে খেলতে হয়েছে ১০ জনের দল নিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সা। কিন্তু বিতর্কিতভাবে লাল কার্ড দেখতে না হলে ম্যাচটা আতলেতিকোই জিতত বলে বিশ্বাস তোরেসের। ম্যাচ শেষে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, ‘আমি কার্ড দেখার মতো কিছু করিনি। এটা যদি প্রতিপক্ষের কেউ করত, তাহলে কার্ড দেখানো হতো না। ১১ জনের দল নিয়ে খেলতে পারলে আমরা নিশ্চিতভাবেই জিততাম।’

রেফারি নিরপেক্ষ থাকলে কাতালানদের জয়ের নায়ক লুইস সুয়ারেজও লাল কার্ড দেখতেন বলে মন্তব্য করেছেন আতলেতিকোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফেলিপে লুইস, ‘আমি জানি না, কী করলে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের  আমাদের মতো কার্ড দেখানো হবে। হয়তো একটা ভয় আছে যে বার্সেলোনা শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যাবে।’ হুয়ানফ্রানকে একবার লাথি মারলেও সুয়ারেজকে কোনো শাস্তি দেননি রেফারি। পরে আরেকবার তিনি ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন লুইসকে। এ সময় দেখেছিলেন একটি হলুদ কার্ড। আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনেও মনে করেন, সুয়ারেজ বেশ কয়েকবার কার্ড দেখার মতো অপরাধ করেছিলেন। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে হারের ব্যবধানটা কম রাখতে পারায় সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন এই আর্জেন্টাইন কোচ, ‘প্রথমার্ধে আমরা খুবই ভালো খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা চেয়েছি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যেন খুব কমের মধ্যে রাখা যায়।’

২০১৩-১৪ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে আতলেতিকোর কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল বার্সেলোনাকে। সেবার প্রথম লেগ ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগটি আতলেতিকো জিতেছিল ১-০ গোলে। এবারও প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে একটি গোল করার সুবিধা পেয়ে গেছে সিমিওনের শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতলেও এই ‘অ্যাওয়ে গোলের’ সুবিধা নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে আতলেতিকো।