ক্ষোভে ফুঁসছেন জিদান

Looks like you've blocked notifications!

পাঁচ দিন আগেই লা লিগার ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে ধরাশায়ী করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। টানা ৩৯টি ম্যাচ অপরাজিত থাকা বার্সাকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। কিন্তু সেই সুখস্মৃতি খুব বেশিদিন স্থায়ী হলো না। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ভল্ফসবুর্গের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে বড়সড় হোঁচট খেয়েছে রিয়াল। হতাশাজনক এই হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কোচ জিনেদিন জিদান। শিষ্যদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হতে না পেরে রীতিমতো ফুঁসছেন এই ফরাসি কিংবদন্তি। তবে কোচ হিসেবে এই হারের দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন জিদান।

অভিজ্ঞতার বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ ও ভল্ফসবুর্গের লড়াইটা ছিল দৈত্য বনাম বামনের মতো। সবচেয়ে বেশি ১০টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড আছে রিয়ালের দখলে। অন্যদিকে এবারই প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে এসেছিল ভল্ফসবুর্গ। কোয়ার্টার ফাইনালের ড্রয়ের পর সহজ প্রতিপক্ষ পেয়ে নিশ্চয়ই খুশিই হয়েছিলেন রিয়ালের সমর্থকরা। কিন্তু প্রথম লেগের ম্যাচে ২-০ গোলে হারের পর এখন বিদায়ের আশঙ্কাই ভর করেছে রিয়াল শিবিরে। ম্যাচ শেষে জিদান বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, ‘আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই। বিশেষ করে প্রথমার্ধ নিয়ে। এমনটা ঘটে যখন আপনি শুরু থেকে পূর্ণ শক্তি দিয়ে খেলেন না। শনিবার (বার্সেলোনার বিপক্ষে) আমরা যেভাবে খেলেছিলাম, এই ম্যাচটাও আমরা সেভাবেই খেলতে চেয়েছিলাম। বার্সার বিপক্ষে আমরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেছিলাম। আর এখানে প্রথমার্ধে আমরা ছিলাম অনুজ্জ্বল।’

রিয়ালের সর্বনাশটা প্রথমার্ধেই হয়ে গেছে। ১৮ ও ২৫ মিনিটে দুটি গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল ভল্ফসবুর্গ। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের অনেক চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি বেল-রোনালদোরা। শিষ্যদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হতে না পারলেও হতাশাজনক এই হারের দায় অবশ্য নিজের কাঁধেই নিয়েছেন জিদান, ‘কোচ হিসেবে আমি পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি। আমরা এই ম্যাচটা আবার দেখব আর সেটা বিশ্লেষণ করব। আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত।’

হতাশাজনক এই হারের পর এখন ঘুরে দাঁড়ানোটাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জিদান। ১২ এপ্রিল নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ভল্ফসবুর্গের মুখোমুখি হবে রিয়াল। তার আগে অবশ্য লা লিগার একটি ম্যাচও খেলতে হবে ইউরোপের অন্যতম সেরা এই ক্লাবকে। এলচের বিপক্ষে সেই ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগটাও পাবেন রিয়ালের তারকা ফুটবলাররা।