আর কখনোই খেলবেন না শারাপোভা?

Looks like you've blocked notifications!

২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন শিরোপা জিতে টেনিস বিশ্বে সোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মারিয়া শারাপোভা। এরপর ধীরে ধীরে উঠে এসেছিলেন টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। কিন্তু হঠাৎ করে ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে গেছেন রাশিয়ার এই লাস্যময়ী তারকা। টেনিস কোর্টে আবার তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও জেগেছে ঘোর সংশয়। রাশিয়ার টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শারাপোভা হয়তো আর কখনোই পা রাখতে পারবেন না টেনিস অঙ্গনে।

এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলার সময় ড্রাগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন শারাপোভা। তবে না জেনেই নিষিদ্ধ একটি ড্রাগ গ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

এজন্য গত ১২ মার্চ শারাপোভাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন। সেসময় আবারও টেনিসে ফেরার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন শারাপোভা। কিন্তু এখন তিনি ‘খুবই বাজে অবস্থায়’ আছেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি শামিল তার্পিশ্চেভ। শারাপোভার টেনিস অঙ্গনে ফেরার ব্যাপারটিও ‘খুবই সংশয়পূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। 

জেনেবুঝে অবৈধ ড্রাগ গ্রহণ করলে চার বছর এবং না জেনে করলে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার বিধান আছে। তবে শারাপোভাকে ছয় মাস বা এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত মার্চে শারাপোভা জানিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ২০০৬ সাল থেকে মেলোডোনিয়াম নামের এক ধরনের ড্রাগ নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে এটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)। আর এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটিই নাকি জানতেন না টেনিসের সাবেক এই শীর্ষ তারকা।