উসাইন বোল্টের টানা দ্বিতীয় সাফল্য

Looks like you've blocked notifications!
সেই চিরাচরিত ভঙ্গি। চেক প্রজাতন্ত্রে সাফল্যের পর অদৃশ্য ধনুক ছোড়ার ভঙ্গিতে উসাইন বোল্ট। ছবি : এএফপি

গত সপ্তাহে কেম্যান ইনভাইটেশনাল প্রতিযোগিতায় জিতে মৌসুমটা ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন উসাইন বোল্ট। মৌসুমের দ্বিতীয় লড়াইয়েও বিজয়ী বিশ্বের দ্রুততম মানব। এবার তিনি জয় পেয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ওসত্রাভায় অনুষ্ঠিত গোল্ডেন স্পাইক আইএএএফ ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায়।

কেম্যান ইনভাইটেশনালে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করতে বোল্টের লেগেছিল ১০.০৫ সেকেন্ড। শুক্রবার ওসত্রাভায় তার চেয়ে কম সময়ে ৯.৯৮ সেকেন্ডে ফিনিশিং টেপ ছুঁয়েছেন তিনি। তবু নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন বিশ্বের দ্রুততম মানব, ‘প্রথম ৪০ মিটারে আমি বেশ মন্থর ছিলাম। (দৌড় শুরুর সংকেতের পর) আমার প্রতিক্রিয়া অবশ্য ভালোই ছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি। প্রথম ৪০ মিটার যেন তেমন জোর পাচ্ছিলাম না।’

পরে অবশ্য নিজেকে ফিরে পেয়ে ০.২৩ সেকেন্ডের ব্যবধানে বার্বাডোজের র‍্যামন গিটেন্সকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বোল্ট। তবে আরো অনেক উন্নতি করতে হবে বলেই মনে করেন জ্যামাইকার গতি-দানব, ‘আরো গতি বাড়ানোর জন্য আমাকে আরেকটু পরিশ্রম করতে হবে। আরেকটু উন্নতি করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’ একটা ব্যাপারে অবশ্য স্বস্তি পেতে পারেন বোল্ট। ওসত্রাভায় যাওয়ার আগে পায়ের চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শুক্রবার দৌড়ানোর সময় কোনো অস্বস্তি বোধ করেননি ১০০ ও ২০০ মিটারের বিশ্বরেকর্ডের মালিক।

আর তিন মাস পরই বোল্টের সামনে কঠিন পরীক্ষা। ইতিহাসের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে টানা তিনটি অলিম্পিকে তিনটি ইভেন্টে স্বর্ণজয়ের হাতছানি তাঁর সামনে। বেইজিং ও লন্ডনের মতো রিও অলিম্পিকেও কি ১০০, ২০০ ও ৪X১০০ মিটারে শিরোপা জিততে পারবেন? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে সর্বকালের সফলতম স্প্রিন্টারের আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘আমি জিততেই রিওতে যাব। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আর মসৃণগতিতে চললে আমার তো ভালো না করার কারণ নেই। আপনি নিশ্চয়ই এর মানে বোঝেন!’