অধিনায়কত্বের রেকর্ডে পন্টিংয়ের পাশে ধোনি
মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসর ও অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব ভারতের সংবাদমাধ্যম। কবে অবসরে যাবেন, কবে অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়বেন—এ প্রশ্নগুলো উঠতে শুরু করেছে জোরেশোরেই। সেগুলোর কোনো জবাব অবশ্য ধোনি দিচ্ছেন না। ক্রিকেট মাঠে নিজের কাজটাই করে যাচ্ছেন নীরবে। সেটা করতে গিয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক। সব ধরনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করার রেকর্ডে ছুঁয়ে ফেলেছেন রিকি পন্টিংকে।
শুধু অস্ট্রেলিয়ার নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যতম সফল অধিনায়ক পন্টিং। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল দুটি বিশ্বকাপ ও দুটি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পন্টিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল ৩২৪টি ম্যাচ। জিম্বাবুয়ে সফরে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে ধোনি বসে গেছেন পন্টিংয়ের পাশে। ২০০৭ সালে ভারতের অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর ধোনিও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩২৪টি ম্যাচে। এ সময়ের মধ্যে ধোনির নেতৃত্বে ভারত খেলেছে ৬০টি টেস্ট, ১৯৪টি ওয়ানডে ও ৭০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর মধ্যে ভারত জয় পেয়েছে ২৭টি টেস্ট, ১০৭টি ওয়ানডে ও ৪০টি টি-টোয়েন্টিতে। অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির বড় তিনটি শিরোপা জয়ের কৃতিত্বও অর্জন করেছেন ধোনি। ২০০৭ সালে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
পন্টিং ও ধোনি বাদে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ৩০০টির বেশি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কীর্তি গড়েছেন শুধু নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং। তাঁর অধিনায়কত্বে কিউইরা খেলেছে ৩০৩টি ম্যাচ। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (১০৯)। টেস্ট ক্রিকেটে ১০০টির বেশি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার স্মিথ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের এই রেকর্ড আছে পন্টিংয়ের দখলে। ২০০২ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পন্টিং অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৩০টি ম্যাচে। ১৯৪ ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা ধোনির নাম আছে এ তালিকার তৃতীয় স্থানে। ২১৮টি ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন ফ্লেমিং।
টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য সবার ওপরে আছে ধোনির নাম। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভারত ৭০টি ম্যাচ খেলেছে ধোনির নেতৃত্বে। দ্বিতীয় স্থানে আছে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের নাম। তিনি আয়ারল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪৮টি টি-টোয়েন্টিতে।