ফ্রান্সের অগ্রযাত্রা না আইসল্যান্ডের রূপকথা?

Looks like you've blocked notifications!

নামের সঙ্গে বরফ থাকলেও আইসল্যান্ডের পরিচিতি আগ্নেয়গিরির কারণে। ফুটবলে কোনো অর্জন বা খ্যাতি কিছুই ছিল না এত দিন। বিশ্বকাপে কখনো খেলার সৌভাগ্য হয়নি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ পেয়েছে এবারই প্রথম। আর প্রথমবারেই ‘অগ্ন্যুৎপাত’! ফুটবল দুনিয়াকে বিস্ময়ে ভাসিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে আইসল্যান্ড। আজ রাতে শেষ আটের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ইউরোর আয়োজক ফ্রান্স। প্যারিসের বিখ্যাত স্তাদে দি ফ্রান্সে আইসল্যান্ডিকরা কি পারবে ফরাসিদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে আরেকটি রূপকথার জন্ম দিতে?

শেষ ষোলোতে পিছিয়ে পড়েও ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল আইসল্যান্ড। মাত্র তিন লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যা যে দেশে, তাদের এমন সাফল্য সত্যিই বিস্ময়কর। এ মৌসুমে ইংল্যান্ডেরই একটি দল লেস্টার সিটি সবাইকে চমকে দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে। আইসল্যান্ডের এই দলটির বিশেষত্ব হলো, দুজন কোচ লার্স লগারব্যাক ও হেইমির হালগ্রিমসনের অধীনে খেলছে তারা। হালগ্রিমসনের বিশ্বাস, লেস্টার সিটির মতো তাঁদের দলের পক্ষেও অবিশ্বাস্য সাফল্য পাওয়া সম্ভব, ‘লেস্টার সিটির মতো শেষ করতে পারলে তো খুব ভালোই লাগবে। তারা (লেস্টার) তাদের শক্তি অনুযায়ী খেলেছে। আমরাও চেষ্টা করছি নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে। আমাদের দুই দলের মধ্যে একই রকম উদ্দীপনা কাজ করছে।’ 

কোয়ার্টার ফাইনালে মোটামুটি স্বচ্ছন্দে উঠলেও একটা সমস্যা নিয়ে ফ্রান্স চিন্তিত। আগের চার ম্যাচের কোনোটিতেই তারা প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দুই গোল করে স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক আন্তইন গ্রিজম্যানও এ নিয়ে দুশ্চিন্তায়, ‘শুরুর মিনিটগুলো খুব খারাপ কাটছে আমাদের। এই বিভাগে আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে। কারণ আমরা সব সময়ই পার পেয়ে যাব না।’

কে পার পাবে আর কে এগিয়ে যাবে, তার সন্ধান মিলবে স্তাদে দি ফ্রান্সে।