রোনালদোকে নিয়ে ভাবছেন না বেল
ইউরো কাপের শুরু থেকেই দলকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন এ সময়ের সবচেয়ে দামি দুই ফুটবলার গ্যারেথ বেল ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেমিফাইনালে ওয়েলস ও পর্তুগালের মুখোমুখি লড়াইয়ের আগেও বেশি আলোচনা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের এই দুই তারকাকে নিয়ে। তবে লড়াইটাকে কোনোভাবেই ব্যক্তিগত দ্বৈরথ হিসেবে দেখতে রাজি নন বেল। শুধু রোনালদো না, পুরো পর্তুগাল দলকে নিয়েই ভাবছেন বলে জানিয়েছেন ওয়েলসের অধিনায়ক।
২০০৯ সালে ট্রান্সফার ফির নতুন রেকর্ড গড়ে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছিলেন রোনালদো। চার বছর পর তাঁকে পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন বেল। সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন রিয়ালে। এবারের ইউরো কাপেও রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ডের সামনে। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাঁকে খেলতে হবে রোনালদোর পর্তুগালের বিপক্ষে। গণমাধ্যমগুলোও যথারীতি সরগরম দুই দলের অধিনায়ককে নিয়ে। তবে ম্যাচটিকে দলগত লড়াই হিসেবেই দেখতে যান বেল, ‘এটা দুই খেলোয়াড়ের ব্যাপার না। সবাই সত্যিটা জানে। এটা দুইটা দেশের লড়াই। ১১ জন বনাম ১১ জন।’
রোনালদো-বেলের মুখোমুখি লড়াইকে অনেকে দেখছেন এ বছরের ব্যালন ডি’অর জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবেও। ২০০৮ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা মেসি আর রোনালদো ছাড়া কেউই জিততে পারেননি। এবার বেল তাঁদের দুর্গে হানা দিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকেই। আর ইউরোর সেমিফাইনালে বেলের ওয়েলস যদি রোনালদোর পর্তুগালকে হারাতে পারে, তাহলে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল হবে। বেল নিজে অবশ্য সাংবাদিকদের এ-জাতীয় প্রশ্নে বেশ বিরক্তই হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটার কোনো অর্থই হয় না। এটা শুধু একটা ম্যাচের ব্যাপার না। পুরো মৌসুমের ব্যাপার। আর আমি ব্যালন ডি’অর নিয়ে মোটেই ভাবি না। দলকে সাহায্য করাটাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত কোনো পুরস্কার যদি আসে, তো আসুক। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জন্য শিরোপা জেতা। সেটাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য।’
ইউরো কাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই সেমিফাইনালে চলে এসেছে বেলের ওয়েলস। শেষ চারের লড়াইয়ে পর্তুগালকে হারাতে পারলে শিরোপাজয়ের পথে এগিয়ে যাবে আরো এক ধাপ। অন্যদিকে ২০০৪ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে রোনালদোর পর্তুগাল।