পুরোনো চেহারায় ফিরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
কিংবদন্তি কোচ স্যার আলেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর কিছুটা টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরেছিল টানা চারটি ম্যাচ। প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে হেরেছিল ৪-১ ও ৩-০ ব্যবধানে। কিন্তু এবারের মৌসুমে ‘রেড ডেভিল’দের আবার সেই দাপুটে চেহারাতেই দেখা গেছে। রোববার সিটিকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয়ের আশাও জিইয়ে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানইউ। আট মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন সিটির ফরোয়ার্ড সার্জিও অ্যাগুয়েরো। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমার্ধটা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই শেষ করেছিল রেড ডেভিলরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিতই করে ফেলেন হুয়ান মাতা ও ক্রিস স্মেলিং। শেষমুহূর্তে অ্যাগুয়েরোর আরেকটি গোল ম্যানসিটির হারের ব্যবধানটাই শুধু একটু কমাতে পেরেছে।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই জয় দিয়ে শিরোপা জয়ের আশাও জিইয়ে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৩২ ম্যাচ শেষে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লুইস ফন গালের শিষ্যরা। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে চেলসি। শেষপর্যন্ত শিরোপা না জিততে পারলেও গতবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়তে হবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। শুরুটা ভালো না হলেও সমর্থকরা যেভাবে সমর্থন জুগিয়ে গেছে তাতে বেশ খুশি কোচ ফন গাল। ম্যানসিটির বিপক্ষে জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা সমর্থকদের জন্যই খেলি। মৌসুমের শুরুতে ইউনাইটেড ভক্তরা খুব বেশি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ ১১ ম্যাচ খেলে আমাদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৩ পয়েন্ট। কিন্তু তারপরও তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছে। আর এখন, বিশেষত এই সপ্তাহে তারা রাস্তায় গিয়ে উল্লাস করতে পারে আর বলতে পারে যে আমরা এ বছর অনেক ভালো দল। কারণ গোল ব্যবধানের হিসেবেও আমরা এগিয়ে আছি।’
ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্যের দিনও যে শেষ হয়ে গেছে সেটাও সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ফন গাল, ‘আমরা এই মুহূর্তে চার পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছি। কাজেই এটা একটা বড় ব্যাপার।’ গত মৌসুমে শিরোপা জিতলেও এবারের মৌসুমে ৩২ ম্যাচ শেষে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।