ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই মাঠে ফিরতে চান তাসকিন
গত মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তাঁর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সব ধরনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেয় আইসিসি।
স্বাভাবিক কারণে বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি সেরে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হচ্ছে তাসকিনকে। সে লক্ষ্যে গত ২৮ মার্চ অ্যাকশন শুধরানোর লড়াইয়ে নেমে পড়েছিলেন তিনি। এই দীর্ঘ্ সময়ে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে তাঁর। ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই অ্যাকশন শুধরাতে চান, দিতে চান পরীক্ষাও।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে তাসকিন বলেন, ‘অ্যাকশনের উন্নতিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি। ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই পরীক্ষা দিয়ে অ্যাকশন শুধরে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চাই। আশা করছি আমি সফল হবো। কারণ এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি।’
স্থানীয় কোচ মাহবুব আলী জাকির তত্ত্বাবধানে তাসকিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলে। তাঁর উন্নতিতে সন্তুষ্ট বিসিবির এই কোচ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তাসকিনের ৭০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। যেটা খুবই সন্তোষজনক। তাঁর এই উন্নতিতে আমি খুবই খুশি, এমনকি সে নিজেও খুশি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এর পর ১৪ মার্চ চেন্নাইতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি। ১৯ মার্চ আইসিসি তাঁকে নিষিদ্ধ করে, ত্রুটি আছে এই অভিযোগে।
এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের জন্য বিসিবি পরে আবার আইসিসির কাছে আবেদন করে। কিন্তু দীর্ঘ শুনানি শেষে বিসিবির এই আবেদনও খারিজ করে দেয় আইসিসি।
অথচ তাসকিনের স্টক বল (গুড লেন্থ) এবং ইয়র্কারে কোনো ধরনের অনিয়ম পায়নি আইসিসি। তবে পরীক্ষার সময় তাসকিনকে মাত্র তিন মিনিটে নয়টি বাউন্সার করতে বলা হয়। এর মধ্যে তিনটি বল আইনসম্মত ছিল না।
কিন্তু যে ম্যাচটির বোলিং নিয়ে আম্পায়াররা তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে তাসকিন একটিও বাউন্সার দেননি!