ক্যারিবীয় সফরে ভারতই ছিল পরিষ্কার ফেভারিট। কিন্তু ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে এতটা দুরবস্থা হবে, সেটাই বা কে ভাবতে পেরেছিল! বোলারদের নাজেহাল করে দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক করেছেন বিরাট কোহলি। শতক পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। প্রথম ইনিংসে ভারত গড়েছে ৫৬৬ রানের পাহাড়। আর জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পড়তে হয়েছে ফলোঅনের লজ্জায়। অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনে উইন্ডিজের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে ২৪৩ রানে। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেও একটি উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা এড়ানোর জন্য এখনো তাদের করতে হবে ৩০২ রান।

এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন মোহাম্মদ সামি। ৬৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। ভারতের আরেক ডানহাতি পেসার উমেশ যাদবও ভালো ভুগিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। তিনিও চারটি উইকেট নিয়েছেন ৪১ রান খরচে। বাকি দুটি উইকেট গেছে লেগস্পিনার অমিত মিশ্রর ঝুলিতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে অর্ধশতকের ইনিংস আছে মাত্র দুটি। দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকে ২১৮ বলে ৭৪ রানের ধীরস্থির ইনিংস খেলেছেন ওপেনার ক্রেইগ ব্রাফেট। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক শেন ডোউরিচ। সামি ও যাদবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে বড় কোনো জুটিই গড়ে তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। অষ্টম উইকেটে ডোউরিচ ও অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডারের ৬৯ রানের জুটিটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ।

ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও চাপের মুখে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওভারেই হারিয়েছে ক্রেইগ ব্রাফেটের উইকেট। এবার মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। দিনের বাকি সময়টা অবশ্য নির্বিঘ্নেই পার করেছেন আরেক ওপেনার রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা ও ড্যারেন ব্রাভো। ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা এড়ানোর জন্য উইন্ডিজকে এখনো করতে হবে ৩০২ রান।

ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শেষবারের মতো ফলোঅনে পড়তে হয়েছিল ২০০৬ সালে। সেবারও তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।