হাসপাতালে হানিফ মোহাম্মদ

Looks like you've blocked notifications!

তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছিল ২০১৩ সালে। লন্ডনে অস্ত্রোপচার করানো হলেও পুরো সেরে ওঠেননি হানিফ মোহাম্মদ। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। এই সমস্যা নিয়েই সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং কিংবদন্তি।

টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম ত্রিশতক করা হানিফ মোহাম্মদের ছেলে শোয়েবও জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকে। পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক বায়োপসি রিপোর্ট লন্ডনে আমাদের ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান চিকিৎসায় কেমোথেরাপি তেমন কাজে দেবে না। আগের চিকিৎসার চেয়ে বর্তমান চিকিৎসার খরচ প্রায় দ্বিগুণ। তাই আমাদের সরকারি সাহায্য প্রয়োজন।’

শোয়েবের আর্তি শুনেই হয়তো পাকিস্তান ক্রিকেটের বিখ্যাত মোহাম্মদ পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন নওয়াজ শরীফ। ৮১ বছর বয়সী হানিফ মোহাম্মদের চিকিৎসার পুরো ব্যয় বহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্টে ৪৩.৯৮ গড়ে তিন হাজার ৯১৫ রান করেছেন হানিফ। শতক ১২টি, অর্ধশতক ১৫টি। ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর ৩৩৭ রানের ইনিংসটি অমর হয়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসে। বার্বাডোজে  ফলো-অন করতে বাধ্য হওয়া পাকিস্তানকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল মহাকাব্যিক ইনিংসটি। আজো ওই ৩৩৭ রান টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।

হানিফ মোহাম্মদের আরেকটি রেকর্ড দীর্ঘদিন টিকেছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ৪৯৯ রান ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে টিকেছিল ৩৫ বছর। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ৫০১ রান করে ব্রায়ান লারা ভেঙে দেন রেকর্ডটা।  ক্রিকেটে বিশেষ অবদান রাখায় ২০০৯ সালে আইসিসির হল অব ফেমেও জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের ‘লিটল মাস্টার’।